—ফাইল চিত্র।
পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল ২০১৬-১৭ সালে। তার পরের বছর ডেঙ্গি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। এ বার ফিরে এসেছে আতঙ্ক। জ্বরে আক্রান্ত ২৪। মৃত তিন! ডেঙ্গি-মানচিত্রে দেগঙ্গার এই পরিসংখ্যানে স্বাস্থ্য ভবন উদ্বিগ্ন। এতটাই যে, দেগঙ্গায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের পরিসংখ্যান, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেগঙ্গায় জ্বরে আক্রান্ত ২৪ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। শুক্র, শনি ও রবিবার মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘জ্বরে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে দু’জনের ডেঙ্গি যাচাইয়ে রক্ত পরীক্ষা করা হয়নি। আর তৃতীয় জনের ডেঙ্গি নেগেটিভ এসেছে। তা হলে জ্বর থেকে কী ভাবে মৃত্যু হল, সেটা তো দেখতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ২০১৬-১৭ সালে দেগঙ্গার আমুলিয়া, সোহাই শ্বেতপুর, নুরনগর, কলসুরে ডেঙ্গির সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। এ বার জ্বরে যে-তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা আমুলিয়ার বাসিন্দা। এই প্রেক্ষিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ডেঙ্গি দমনের কাজ না-হলে দেগঙ্গাতেও হাবড়া-অশোকনগরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে দেরি হবে না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। অশোকনগর হাসপাতালে ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শতাধিক।
ডেঙ্গি দমনে কী করণীয়, এ দিনই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান দেগঙ্গার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক শাহজি। তিনি বলেন, ‘‘সংক্রমণ প্রতিরোধে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে ‘ফিভার ক্যাম্প’ শুরু করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy