আহা ইলিশ। নামখানায় ছবিটি তুলেছেন দেশকল্যাণ চৌধুরী।
পদ আছে বিস্তর।
মাছও মিলছে অনেক। কিন্তু স্বাদ কই?
ভাপা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ পাতে পড়ছে ঠিকই। কিন্তু খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছেন না ইলিশপ্রেমীরা। কারণ, স্বাদ নেই।
চাহিদা মিটেছে। বাজারে আসছে প্রচুর ইলিশও। কিন্তু স্বাদ না থাকায় মন খারাপ ইলিশ প্রেমীদের।
এ বিষয়ে সুন্দরবন মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সম্পাদক সুকান্ত সরকার জানান, ইলিশের গুনমান অনেকখানি নির্ভর করে জলের উপরে। ইলিশ যত গভীর সমুদ্র থেকে মোহনায় ঢুকবে ইলিশের স্বাদ ততই বাড়বে। তাঁর কথায়, ‘‘বৃষ্টি না হওয়ায় মোহনার জলের মিষ্টতা আসেনি। ফলে ইলিশের স্বাদও কিছুটা কম।’’ তবে আর কিছুদিন পর থেকে বাজারে যে ইলিশ উঠবে তার স্বাদ ভাল হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
রাজ্যে এখনও সে ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়নি। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সব জায়গায় নয়। ফলে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বা মোহনার ইলিশের স্বাদ আসেনি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে প্রায় জুনের শেষ পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল বা নদীর মোহনায় মাছ ধরা বন্ধ থাকে। বহু ট্রলার আগেই সমুদ্রে মাছ ধরতে চলে গিয়েছিল। বিধি নিষেধ উঠতেই বহু ট্রলার মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন হাজারের বেশি ট্রলার বঙ্গোপসাগরের উপকূলে হাজির হয়েছে রুপোলি শস্যের খোঁজে। মরশুমের শুরুতে আশা জাগিয়ে ইলিশের দেখা মিললেও স্বাদে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বলে ক্রেতারা জানান। তবে জেলার বিভিন্ন বাজারে এখন যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশ মাছের ওজন ৫০০-৭০০ গ্রাম। প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে ওই সমস্ত মাছগুলি বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্যানিঙের বাসিন্দা কল্পনা মন্ডল, সৈয়দ মনজুর রহমানরা বলেন, ‘‘বাজারে ইলিশ উঠেছে। তবে মাছগুলি ছোট। তার উপরে তেমন স্বাদ নেই।’’ তবে যোগান বাড়লে ইলিশের দাম কমবে বলে আশ্বাস দেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ইলিশের স্বাদের এখনই কোনও গ্যারান্টি তাঁরা দেননি। তাঁদের কথায়, ‘‘ইলিশের স্বাদ নির্ভর করে প্রকৃতির উপরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy