ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়া এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে ট্রেনে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত ছাত্রের হাতে পরানো স্টিলের হাতকড়া। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিদ্ধ হুগলি জেলা পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কী ভাবে এক জনকে এ ভাবে হাতকড়া পরিয়ে প্রকাশ্যে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবী থেকে মানবাধিকার কর্মীরা। তবে সকলেই যখন এই ঘটনার সমালোচনায় সরব, তখন হুগলি জেলা পুলিশ কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়েই মুখে কুলুপ এঁটেছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। তারকেশ্বর থানা এলাকার আসতারা গ্রামের বাসিন্দা সায়নদীপ সামন্ত তখন চাপাডাঙা কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেই সময় ওই কলেজে একটি ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে আদালতে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাক পড়ে সায়নদীপের। পুলিশের দাবি, আদালত বার বার সমন পাঠানোর পরেও হাজিরা দেননি ওই ছাত্র। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। সমন অগ্রাহ্য করার কারণে চন্দননগর আদালত সায়নদীপের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
সেই পরোয়ানার ভিত্তিতেই সায়নদীপকে শুক্রবার তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর লোকাল ট্রেনের ভেন্ডর কামরায় চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগর আদালতে। সেই সময় ওই ট্রেনে থাকা যাত্রীদের চোখে পড়ে সায়নদীপের হাতে হাতকড়া বাঁধা। তাঁদেরই কয়েক জন ভিডিয়ো তোলেন। সেই ভিডিয়ো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হাতকড়া বাঁধা অবস্থায় ট্রেনের সিটে বসে রয়েছেন সায়নদীপ। পাশে এক পুলিশ কর্মী। পরে জানা যায়, তিনি তারকেশ্বর থানার কনস্টেবল প্রবীর শূর।