ভোট এলেই হিংসা-হানাহানি দেখতে অভ্যস্ত আরামবাগ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটান। এ বার ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগে রবিবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করল মহকুমার রাজনৈতিক ভাবে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
ক’দিন আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পুরশুড়ার সুঁদরুশ এলাকায়। এ দিন ওই জায়গা একং সংলগ্ন চিলাডাঙি পঞ্চায়েত এলাকায় এক কোম্পানি (১২ জন) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রুটমার্চ করলেন পুরশুড়ার ওসি। গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল-বিজেপির বোমাবাজিতে উত্তাল খানাকুলের বালিপুরেও রুটমার্চ হল। আরামবাগের কালীপুর, গোঘাটের বকুলতলা, খানাটি, নবাসন ও আকতপুরেও রুটমার্চ হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজনৈতিক গোলমালের প্রথম কোপটি পড়ে স্থানীয় বাজার-হাটে। নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সৌজন্যে এ বার তা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মনে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় থাকলে নিরাপদে ভোট দেওয়া যাবে এবং হানাহানি বন্ধ থাকবে বলেও মনে করছেন অনেকে।