E-Paper

ঝড়ে ফসলে ক্ষতির নালিশ চাষিদের

হুগলির চাষিরা জানিয়েছেন, ঝোড়ো দমকা হাওয়ায় আম ঝরে গিয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে বলাগড়, পোলবা-দাদপুর এবং চুঁচুড়া-মগরা ব্লক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ০৯:১৫
farmers carrying their crops

ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় মাঠ থেকে ধান তুলছেন চাষিরা। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকে জোয়ারগোড়িতে। ছবি: সুব্রত জানা Sourced by the ABP

টানা কয়েক দিনের দাবদাহে ফসলের ক্ষতির কথা জানিয়েছিলেন চাষিরা। সোমবার ঝড়বৃষ্টির পরে ফের ক্ষতির কথাই জানালেন হাওড়া ও হুগলি— দুই জেলার চাষিরা। তবে কৃষি আধিকারিকদের দাবি, ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হলেও বৃষ্টিতে লাভই হয়েছে।

হুগলির চাষিরা জানিয়েছেন, ঝোড়ো দমকা হাওয়ায় আম ঝরে গিয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে বলাগড়, পোলবা-দাদপুর এবং চুঁচুড়া-মগরা ব্লক। গুপ্তিপাড়ার আম চাষি সমীর ভড়, মনোতোষ মালো বলেন, ‘‘এখন আম পাকার মুখে। এ বার বেশি ফলন হওয়ায় কাঁচা অবস্থায় কিছু আম পেড়ে নিয়েছিলাম। সেটাই কিছুটা রক্ষে।’’ পোলবার রাজহাটের আম চাষি পাপ্পু শূর এবং সত্যজিৎ নিয়োগী বলেন, ‘‘আমাদের এই এলাকায় ভাল হিমসাগর হয়। এখনও সেই আম পাড়ার উপযুক্ত হয়নি। ঝড়ে আম পড়ে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে।’’

আরামবাগ মহকুমায় আনাজের ক্ষতি হয়েছে বলে চাষিদের দাবি। পটল, ঝিঙে জাতীয় কিছু মাচার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিল গাছও হেলে গিয়েছে। গোঘাটের শ্যামবাজারের আব্দুস আলির অভিযোগ, ‘‘চার কাঠা জমির ঝিঙে মাচা ভেঙেছে লুটিয়ে পড়ছে। মাচা খাড়া করে কিছু ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’’ হুগলির জেলা উদ্যান পালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সুদীপকুমার ভকত বলেন, “মাচার ফসলের কিছু ক্ষতি হলেও সার্বিক ভাবে বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে।’’

সোমবারের বৃষ্টিতে চাষের ক্ষেত্রে লাভ হয়েছে বলে জানালেন হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা সৌমেশ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘এখন পাট, বাদাম, তিল প্রভৃতি চাষ হয়েছে। এই চাষের জন্যে এই সময়ে জলের প্রয়োজন ছিল। সোমবার বৃষ্টিতে তা কিছুটা পূরণ হয়েছে। প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান তুলে নেওয়া হয়েছিল। ফলে ধানের কোনও ক্ষতি হয়নি।’’

ঝড়ে হাওড়ার বাগনানে ফুলচাষের বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। বাগনান-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বহু মানুষ এই চাষের উপরে নির্ভরশীল। ঝড়বৃষ্টির ফলে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস প্রভৃতি ফুল ঝরে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে। সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ নায়েক চাষিদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

farmers angry Chinsurah Uluberia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy