E-Paper

অঙ্গনওয়াড়ির শিশুদের পুষ্টি জোগাচ্ছে জীববৈচিত্র পার্ক

২০১৮ সালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সপ্তাহে তিন দিন কলা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন এই ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৫৪
প্রজাপতি পার্ক। আরামবাগের নারায়ণপুরে।

প্রজাপতি পার্ক। আরামবাগের নারায়ণপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

দেড় বছরের মাথাতেই সুফল মিলছে আরামবাগের নারায়ণপুর জীববৈচিত্র পার্ক থেকে। পার্কের কলাবাগান থেকে এলাকার তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পুষ্টি জোগাতে কলা তো দেওয়া হচ্ছেই, পেয়ারা, লেবু, পেঁপেও বাদ যাচ্ছে না।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের প্রকল্পের এই কাজে ব্যয় বরাদ্দ হয়েছিল ৪৩ লক্ষ টাকা। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পের এটি একটি সফল রূপায়ণ।’’

২০১৮ সালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সপ্তাহে তিন দিন কলা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন এই ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তবে, এই গ্রামের তিনটি সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের পু্ষ্টিমান বজায় রাখাতে তার অভাব হচ্ছে না। পার্ক থেকে বিনা পয়সায় কলা-সহ অন্যান্য ফল সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানান পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণে গ্রামবাসীদের নিয়ে তৈরি ‘নীলাদিঘি উন্নয়ন কমিটি’র সম্পাদক শেখ
আব্দুল সবুর।

আরামবাগ ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে পতিত এবং আবর্জনায় পরিবেশ দূষণের স্থান হয়েছিল নারায়ণপুরের দিঘি। সেই রুক্ষ ‘নীলাদিঘি’র পাড় এখন সবুজ গাছে ভর্তি। তাতে নানা রঙের ফল ধরছে। দিঘির পাড়ে প্রায় ৪ বিঘা এলাকা জুড়ে কলা-সহ বিভিন্ন ফলের বাগান হয়েছে। দিঘির গা ঘেঁষে লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০০ নারকেল গাছ। রয়েছে প্রজাপতি পার্ক। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দু’হাজার প্রজাপতির আনাগোনা। তাদের দেখতে মানুষের ভিড় হয়। আরও দেড় বিঘায় আছে জাপানি পদ্ধতিতে কম সময়ে কম জায়গার মধ্যে তৈরি ঘন জঙ্গল। সেই জঙ্গলকে ঘিরে প্রচুর পাখি, বক, কাঠবিড়ালি, বেজি, সাপ, পোকামাকড়ের আস্তানা। সব মিলিয়ে জীববৈচিত্রের সমাহার।

আব্দুল সবুর বলেন, ‘‘দু’বছর আগেও জায়গাটা কার্যত পতিত ছিল। ব্লক প্রশাসনের তরফে পার্ক তৈরির প্রস্তাব এলে আমরা এক কথায় রাজি হয়ে যাই। এখন জায়গাটার অনেকটাই প্রাণ ফিরেছে। জীববৈচিত্রের কাজ চালু রেখেছি আমরা।’’ তিনি জানান, ব্লক প্রশাসনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বার ওষধি গাছ লাগানো হবে। দিঘিতে পদ্ম চাষ হবে। বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, কাঁকড়া, কচ্ছপ ইত্যাদিও থাকবে। থাকবে উভচর প্রাণীরাও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Fruits

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy