E-Paper

জনজীবনে তেমন প্রভাব পড়ল না বন্‌ধে

শুক্রবার এসইউসি-র ডাকা বন্ধে চাঁপদানি শিল্পাঞ্চলে কোনও প্রভাব পড়েনি। জুটমিল ও কারখানা খোলা ছিল। জুটমিলে বিভিন্ন শিফটের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:১৭
বাগনানে বন্ধের সমর্থনে এসইউসিআই এর মিছিল।

বাগনানে বন্ধের সমর্থনে এসইউসিআই এর মিছিল। নিজস্ব চিত্র।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসইউসি। তবে হাওড়া ও হুগলিতে ধর্মঘটের প্রভাব ছিল না বললেই চলে। তবে সংগঠনের নেতাদের দাবি, ধর্মঘট সফল হয়েছে।

এ দিন চুঁচুড়া, চন্দননগর সহ জেলার অন্যান্য প্রান্তে দোকানপাট ছিল খোলা। বিভিন্ন জায়গায় বাস, অটো, টোটো চলেছে। খোলা ছিল স্কুল-কলেজগুলিও। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্কে কর্মচারীদের উপস্থিতি খুব একটা কম ছিল না। হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘ধর্মঘট নিয়ে জেলার কোনও অফিস-কাছারিতে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। সরকারি দফতরগুলিতে উপস্থিতির হার ছিল ৯৬-৯৭ শতাংশ। মানুষ সাধারণ দিনের মতোই পরিষেবা পেয়েছেন।’’

শুক্রবার সকালে চুঁচুড়ায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করে এসইউসি। সংগঠনের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য দীপঙ্কর মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। সুতরাং ক’টা দোকানপাট খোলা দেখে আমাদের আন্দোলনের স্বার্থকতা বিচার করা যাবে না।’’

শুক্রবার এসইউসি-র ডাকা বন্ধে চাঁপদানি শিল্পাঞ্চলে কোনও প্রভাব পড়েনি। জুটমিল ও কারখানা খোলা ছিল। জুটমিলে বিভিন্ন শিফটের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। সকাল থেকে রেল, সড়ক ও জলপথে যানবাহন পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। বৈদ্যবাটী, শেওড়াফুলি, চাঁপদানি ও ভদ্রেশ্বর এলাকার দোকান, বাজার-হাট সব খোলা ছিল। স্কুল, ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। এলাকায় এসইউসি কর্মী-সমর্থকদের রাস্তায় নামতে সে ভাবে দেখা যায়নি।

এ দিন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি আরামবাগ মহকুমাতেও। মহকুমার স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকেরা অনেকেই জানিয়েছেন, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকলেও সরকারি নির্দেশিকা থাকায় সকলকেই প্রায় স্কুলে আসতে হয়েছে।

ধর্মঘটের প্রতি মানুষের সমর্থন মিলেছে জানিয়ে এসিউসিআই-র জেলা সম্পাদক সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, “বিশেষ প্রচারের সুযোগ ছাড়া জেলার সর্বত্র মানুষ আমাদের ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছেন। সিঙ্গুর, রিষড়া, চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে আমাদের বিরাট বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।’’

শুক্রবার হাওড়ার গ্রামীণ এলাকাতেও ধর্মঘটের বিশেষ প্রভাব পড়েনি। বাগনান, আমতা, শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া— সব জায়গাতেই দোকান-বাজার খোলা ছিল। সরকারি অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ সর্বত্রই হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। যান চলাচলও স্বাভাবিক ছিল। সংগঠনের নেতা নিখিল বেরা বলেন, ‘‘আমাদের
দলের তরফ থেকে সকালে ধর্মঘটের পক্ষে মিছিল করা হয়েছে। অনেক জায়গায় দোকান এবং যান চলাচল
বন্ধ ছিল।’’

এ দিন আন্দুলের একটি সরকারি স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর পাঁচটা দিনের মতোই ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার স্বাভাবিক ছিল। ডোমজুড়ের একটি স্কুলেও পঠনপাঠন স্বাভাবিক ছিল। ধর্মঘট প্রসঙ্গে সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য শুকদেব বারিক বলেন, ‘‘এ দিন আন্দুল স্টেশন রোড থেকে আন্দুল বাজার পর্যন্ত মিছিল করেন সমর্থকেরা। এ ছাড়া, শহরের কিছু জায়গাতেও মিছিল হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

R G Kar Hospital SUCI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy