Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Indian Railway

Indian railways: কামারকুণ্ডুতে আন্ডারপাস নিয়ে প্রশাসন-রেল বৈঠক

আন্ডারপাস না হওয়া পর্যন্ত রেলগেট বন্ধ করা চলবে না বলে এলাকাবাসীর দাবি।

আলোচনা: চলছে বৈঠক।

আলোচনা: চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কামারকুণ্ডু শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১০
Share: Save:

আন্ডারপাস এবং ফুট-ওভারব্রিজের দাবিতে শুক্রবার মিছিল করেছিলেন কামারকুণ্ডুর নির্মীয়মাণ উড়ালপুল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। সাধারণ মানুষের ওই দাবি বাস্তবায়িত করা নিয়ে শনিবার এখানে প্রশাসনিক স্তরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল। বৈঠকে উপস্থিত রেলের আধিকারিক জানান, ওই প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, উড়ালপুল চালু হলেই সংলগ্ন রেলগেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে উড়ালপুলের দু’পাড়ে যাতায়াতে সমস্যা হবে। অনেকটা রাস্তা তাঁদের ঘুরে যেতে হবে। বিশেষত বয়স্ক, মহিলা বা স্কুল পড়ুয়াদের সমস্যা হবে। বন্ধ রেলগেটের ফাঁক গলে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে। আন্ডারপাস না হওয়া পর্যন্ত রেলগেট বন্ধ করা চলবে না বলে এলাকাবাসীর দাবি।

কেজিডি (কামারকুণ্ডু-গোপালনগর-দলুইগাছা) পঞ্চায়েত ভবনে এ দিন বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, ‘‘আন্ডারপাসের প্রয়োজন রয়েছে। যতদিন না আন্ডারপাস হচ্ছে, সাইকেল ও মোটরবাইক যাতায়াতের জন্য ৫ ফুট জায়গা খুলে রাখতে হবে। নজরদারিতে আরপিএফ থাকুক।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বৈঠকে আন্ডারপাস তৈরির বিষয়টি ঠিক হয়েছে। আমার বিশ্বাস, দ্রুত তা রূপায়ণ হবে। তিন মাসের মধ্যে আন্ডারপাসের কাজ শেষ করতে হবে বলে আমাদের তরফে রেলকে বলা হয়েছে।’’ তবে, বৈঠক থেকে বেরিয়ে পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিক এস কে যাদব বলেন, ‘‘আন্ডারপাস হবে কী হবে না, এখনই বলা যাচ্ছে না। দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’

বেচারামবাবু, রেলের ওই আধিকারিক ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি, মহকুমাশাসক (চন্দননগর) অয়ন দাশগুপ্ত, বিডিও (সিঙ্গুর) পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না। জিআরপি, হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের আধিকারিকরাও ছিলেন।

হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার কামারকুণ্ডু স্টেশন লাগোয়া রেললাইনের উপর দিয়ে গিয়েছে বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোড। রেলগেট পড়লে দু’দিকে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পথ ধরে তারকেশ্বরে যান। এই সময় রেলগেট পড়লে ভোগান্তি চরমে ওঠে। হুড়োহুড়িতে পুণ্যার্থীদের জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে এখানে উড়ালপুলের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০১৪ সালে উড়ালপুলের শিলান্যাস করা হয়। ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয়। কাজ এখন প্রায় শেষ।

উড়ালপুল চালুর প্রশ্নে বেচারামবাবু বলেন, ‘‘রেলের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তা শেষ হলেই উড়ালপুল চালু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE