প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি কলকাতার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএম হ্যাক করে প্রায় দু’কোটি টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাঁদের ধারণা, হরিয়ানার একটি দুষ্কৃতী-দল এতে জড়িত। এ বার সেই ‘হরিয়ানা গ্যাং’ থেকে সতর্ক থাকতে তৎপর হল হাওড়া সিটি পুলিশও। রাতে বাড়ানো হল রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড ও মোটরবাইক-বাহিনীর সংখ্যা। একই সঙ্গে প্রতিটি থানাকে বিভিন্ন জ়োনে ভাগ করে শুরু হয়েছে নজরদারি।
তদন্তকারীদের আশঙ্কা, দলের বাকি সদস্যেরা কলকাতা ও আশপাশে গা-ঢাকা দিয়ে এই কাজ চালাচ্ছে। হাওড়ায় যাতে তারা কোনও ‘অপারেশন’ চালাতে না পারে, সে জন্য আগেই তৎপর হাওড়া সিটি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হাওড়া এবং বালি মিলিয়ে শহরে শতাধিক এটিএম আছে। সেগুলির অধিকাংশই রক্ষীবিহীন। যে কারণে গত এক বছরে একাধিক বার বিভিন্ন এটিএম ভেঙে লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। টাকা উদ্ধার তো দূর, লুটেরাদের টিকিও ছোঁয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, এটিএম রক্ষীবিহীন থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে ‘হরিয়ানা গ্যাং’-এর সদস্যেরা। তাই প্রতিটি এটিএমে রাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে হাওড়া থানা এলাকায়।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘শুধু হাওড়া থানা এলাকায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ২৬টি এটিএম আছে। তার মধ্যে মাত্র চারটি এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী আছেন। বাকিগুলি সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ওই এটিএমগুলি নজরে রাখার জন্য প্রতি রাতে পাহারায় থাকে মোবাইল ভ্যান এবং তিনটি মোটরবাইক বাহিনী।
সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, কিছু এটিএম সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজারেরা। বাকিগুলি রক্ষণবেক্ষণ করে বেসরকারি সংস্থা। একের পর এক এটিএমে লুটের ঘটনার পরে সব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং এটিএম দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল পুলিশ। ওই বৈঠকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারদের জানানো হয়, প্রতিটি এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী দিতে হবে।
পুলিশের ওই পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘ম্যানেজাররা সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে তাঁদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি এটিএমে রক্ষী নিয়োগ করেছেন। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলি কোনও রক্ষী দেয়নি। ফলে সমস্যা রয়েই গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy