Advertisement
E-Paper

Chandernagore Municipal Corporation Election 2021: জনসংযোগ কাউন্সিলরের, কটাক্ষ ছুঁড়ছেন বিরোধীরা

এ সি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পাশের ওয়ার্ডের লোকজন এখানে এসে আবর্জনা ফেলেন। এই নিয়ে অশান্তি হয় মাঝেমধ্যেই।

কেদারনাথ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৮
 চলছে জল প্রকল্পের কাজ।

চলছে জল প্রকল্পের কাজ। নিজস্ব চিত্র।

বোর্ড ভেঙে গেলেও জনসংযোগ চালিয়ে গিয়েছেন কাউন্সিলর। কিন্তু সার্বিক পরিষেবা নাগরিকদের পাইয়ে দিতে পারেননি। ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। নানা সমস্যাকে নিত্যসঙ্গী করেই চলতে হয়েছে চন্দননগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।

মানকুণ্ডুতে জিটি রোডের পূর্ব দিকে, অর্থাৎ গঙ্গার দিকে যেতে এই ওয়ার্ড। ঘনবসতিপূর্ণ। রাস্তাঘাট অপেক্ষাকৃত সঙ্কীর্ণ হলেও পাকা। ছোট গাড়ি ঢুকতে পারে। রাস্তার সমস্যা তেমন নেই বটে, তবে, বেশ কিছু জায়গায় দেখা গেল, ডাস্টবিন উপছে আবর্জনা রাস্তায়। নর্দমা পাকা হলেও কিছু ক্ষেত্রে নিকাশির সমস্যা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পানীয় জল সরবরাহ নিয়েও। ট্যাপকলে জল অনেক সময়ে ঘোলা পড়ে বলে অভিযোগ। নামের বাগান, বোসপাড়া, যোগীপাড়ায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।

বিদায়ী কাউন্সিলর, তৃণমূলের শৈলেন নাথ ২০০৫ সাল থেকে এখানে টানা তিন বার জিতেছেন। গত পুরভোটে সিপিএমের শ্যামল মিশ্রকে ১২৩৬ ভোটে হারান। এর আগের বোর্ডে পূর্ত বিভাগের মেয়র-পারিষদ ছিলেন শৈলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়ার পরেও তিনি চুপ করে বসে থাকেননি। কাউন্সিলরদের ক্ষমতা না থাকায় বিভিন্ন শংসাপত্র বিধায়কের অফিস থেকে আনতে হত। শৈলেন নিজেই সেখান থেকে শংসাপত্র নিয়ে আসতেন।

তবে, আর পাঁচটা সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান তাঁর পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। এ সি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পাশের ওয়ার্ডের লোকজন এখানে এসে আবর্জনা ফেলেন। এই নিয়ে অশান্তি হয় মাঝেমধ্যেই। পুরসভায় বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি। জৈব-অজৈব বর্জ্য আলাদা করে রাখার জন্য বাড়ি বাড়ি পাত্র দিয়েছে পুরসভা। অনেকেই ওই পাত্রে পুরকর্মীদের হাতগাড়িতে আবর্জনা না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলার পুরনো অভ্যাস বজায় রেখেছেন। কুকুর সেই আবর্জনা টেনে রাস্তায় আনে। এলাকা দূষিত হয়। দুর্গন্ধ ছড়ায়। এলকাবাসীর আরও ক্ষোভ, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জ্যোতির মোড় তেমাথা থেকে বাদামতলা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব ভড় এবং প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পুরসভার ট্যাপকলের জলে মাঝেমধ্যেই ঘোলা বেরোয়। জল কিনে খেতে হয়। এই সমস্যা দূর করুন পুর কর্তৃপক্ষ। আর, আবর্জনা ফেলা নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।’’

Chandannagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy