বাঁ দিক থেকে ধৃত টোটন কর এবং সঞ্জয় রুইদাস। নিজস্ব চিত্র
কারও বয়স কুড়ি। কারও সামান্য বেশি। এই বয়সেই নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরির পরিকল্পনা করেছিলে তিন তরুণ। তাতে বাধা পেয়েই হুগলির তারকেশ্বরের এক মুদিখানা দোকানের মালিককে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তারা। সুব্রত মণ্ডল নামে ওই প্রৌঢ়কে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দ্বিতীয় তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা তৃতীয় জন। কিন্তু অভিযুক্তদের এত কম বয়সে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার বাসিন্দা তথা মুদিখানা দোকানের মালিক সুব্রত খুন হয়েছিলেন গত শনিবার। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রুইদাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি তার চাঁপাডাঙার কলেজ রোড এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে সঞ্জয় তারকেশ্বর থেকে ট্রেন ধরে অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তিন জনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। এর পর প্রথমে পুরশুড়া থেকে টোটন কর নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকেই সঞ্জয় সম্পর্কে তথ্য পান তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চাঁপাডাঙায় ইদানীং ভিড় জমাতে শুরু করেছে মাদকসেবীরা। সেইসঙ্গে বেড়েছে এলাকায় চুরির উপদ্রবও। পুলিশের অনুমান, নেশার টাকা জোগাড় করতেই শনিবার তিন তরুণ মিলে সুব্রতর দোকানে হানা দিয়েছিল। তাতে বাধা পেয়ে তাঁকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। পুলিশ সেই কোদালটিও উদ্ধার করেছে। তবে ধৃতদের বয়স দেখে তদন্তকারীরা অবাক। টোটনের বয়স ২০ বছর। সঞ্জয় বছর চব্বিশের তরুণ। এর আগে চুরির অভিযোগে জেল খাটার ইতিহাসও রয়েছে তার। পুলিশ জানতে পেরেছে, অধরা তৃতীয় অভিযুক্তও ওই একই বয়সি।
হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলছেন, ‘‘চুরি করতে গিয়ে বাধা পেয়েই তারা খুন করে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তবে আর কী কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এত কম বয়সে কেন এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy