E-Paper

কেটারিংয়ের কাজে গিয়ে রহস্য-মৃত্যু, দেহ মিলল হাওড়ার যুবকের

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শেখ ওয়াসিম নামে বছর চল্লিশের ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হাওড়ার পাকুরিয়া সেতুর নীচে, ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৭
দেহটি উদ্ধার করার পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানা।

দেহটি উদ্ধার করার পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানা। —প্রতীকী চিত্র।

কেটারিংয়ের দলের সঙ্গে কাজ করতে বেরিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শেখ ওয়াসিম নামে বছর চল্লিশের ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হাওড়ার পাকুরিয়া সেতুর নীচে, ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে। দেহটি উদ্ধার করার পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের চোখে, মুখে ও কপালে ক্ষতচিহ্ন দেখে পরিবারের সন্দেহ, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, ওই যুবক হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াসিমের বাড়ি বাঁকড়ার সর্দারপাড়ায়। রবিবার সকালে কেটারিংয়ের দলের সঙ্গে রান্নার কাজে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। প্রতিবেশী সাদ্দাম হুসেন তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যান। পেশায় পাচক ওয়াসিমের সোমবার সকালেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ফেরেননি। ওয়াসিমের দাদা শেখ আবসার এ দিন বলেন, ‘‘সকাল ৯টা নাগাদ ডোমজুড় থানা থেকে ফোন আসে আমাদের কাছে। থানায় গিয়ে ভাইয়ের দেহ শনাক্ত করতে বলা হয়। আমার ভাই যাঁর সঙ্গে কাজে গিয়েছিল, সেই সাদ্দামকে ফোন করলাম। সাদ্দাম বললেন, উনি নাকি আমার ভাইকে রবিবার রাতে বাসে তুলে দিয়েছিলেন। সে কথা রবিবার সন্ধ্যাতেও সাদ্দাম জানিয়েছিলেন। এখন তিনি বর্ধমানে আছেন। কী ভাবে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হল, বুঝতে পারছি না। ওর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’’

কিন্তু ওয়াসিম রান্নার কাজে ঠিক কোথায় গিয়েছিলেন, সেটাই পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও ঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। পুলিশ সূত্রের খবর, ওয়াসিম মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। ওয়াসিমের পরিবারের লোকজন, কেটারিং সংস্থা এবং তাঁর বন্ধুদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police Death Caterers

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy