Advertisement
০৪ মে ২০২৪

মেয়েকে খুঁজে পেতে ছবি বুকে ঘুরছেন বাবা

মেয়ের খোঁজে শেষ পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন নিখোঁজ শিশুর বাবা। পুলিশ ও পরিবার সবত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৮ নভেম্বর মানকুণ্ডুতে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল বছর দেড়েকের দিশা সাঁতরা। সেদিন বিকেলে স্থানীয় মহাডাঙা কলোনিতে দিদি তনুশ্রীর সঙ্গে পুজোর মণ্ডপে ঘুরতে গিয়েছিল সে।

আশায়: মেয়ের ছবি নিয়ে নারায়ণবাবু। ছবি: তাপস ঘোষ

আশায়: মেয়ের ছবি নিয়ে নারায়ণবাবু। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৪
Share: Save:

মেয়ের খোঁজে শেষ পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন নিখোঁজ শিশুর বাবা।

পুলিশ ও পরিবার সবত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৮ নভেম্বর মানকুণ্ডুতে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল বছর দেড়েকের দিশা সাঁতরা। সেদিন বিকেলে স্থানীয় মহাডাঙা কলোনিতে দিদি তনুশ্রীর সঙ্গে পুজোর মণ্ডপে ঘুরতে গিয়েছিল সে। সেখানে দিদির কাছে সে বেলুন কেনার বায়না করে। তনুশ্রীর কথায়, ‘‘বোন য়খন কান্নাকাটি করছে সেই সময় এক মহি‌লা এগিয়ে আসেন। তিনি আমাকে ১০ টাকা দিয়ে বেলুন কিনতে পাঠান। বলেন, আমি না ফেরা পর্যন্ত বোনকে তিনিই দেখবেন। এরপর আমি চলে যাই। পরে ফিরে এসে বোন বা ওই মহিলা কাউকেই দেখতে পাইনি।’’ পরে বাড়িতে গিয়ে তনুশ্রী সব জানায়।

পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ অভিযোগ করা হয়। মেয়ের কোনও হদিস না পেয়ে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগান নারায়ণবাবু এবং তাঁর স্ত্রী। ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন দিশার বাবা-মা। নারায়ণবাবু জানান, কয়েকদিন আগে একটি ফোন আসে যে ৫০০০ হাজার টাকা দিলে মেয়েকে ফেরত দেওয়া হবে। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় তিনি ব্যান্ডেল মোড় এলাকায় পৌঁছে ওই নম্বরে ফোন করে জানালে এক যুবক সেখানে এসে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। কিন্তু মেয়ের কোনও সন্ধান মেলেনি। এর কিছুদিন পর ফের টাকা চেয়ে ফোন এলে তিনি পুলিশকে তা জানান। পুলিশের কথামত ব্যান্ডেলের লিচুবাগান এলাকায় পৌঁছলেও দুষ্কৃতীরা পুলিশের গন্ধ আঁচ করে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে আর কোনও ফোন আসেনি। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার নারায়ণবাবু জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, পুলিশ সুপার তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়েকে খুঁজে বের করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘ওই দুষ্কৃতীদের ফোন নম্বর রাখা হয়েছে। শিশুর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chuchura baby girl missing Disha Santra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE