Advertisement
E-Paper

ফের দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে, পর্যটক-সহ মৃত ৫

জাতীয় সড়কে ফের দুর্ঘটনা। আবারও দ্রুত গতির বলি হলেন পাঁচ জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪১
দুর্ঘটনাগ্রস্ত: দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনাগ্রস্ত: দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়কে ফের দুর্ঘটনা। আবারও দ্রুত গতির বলি হলেন পাঁচ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে দিঘা যাওয়ার পথে মৃত্যু হল অসমের চার পর্যটক ও তাঁদের গাড়ির চালকের। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মেরে গুঁড়িয়ে যায় গাড়িটি। সে সময় গাড়িতে ছিলেন চালক-সহ ছ’জন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছিল গাড়িটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দুর্ঘটনা।

মৃত তারিকুল ইসলাম (২৮), শান মহম্মদ (৩০), মোজফফর আলি (২৭) এবং রাহুল আলি (৩০) অসমের বাসিন্দা। গাড়ির চালক শেখ ইমতিয়াজ (২৮) কলকাতার খিদিরপুরের বাসিন্দা। প্রাণে বেঁচেছেন সাত আসনের গাড়িটির একেবারে পিছনের আসনে বসা শেখ বখতিয়ার। তিনিও এসেছিলেন অসম থেকে। তাঁর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে কলকাতা এসে পৌঁছেছিলেন পাঁচ বন্ধু। উঠেছিলেন অসম ভবনে। পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের একেবারে প্রথম দিনে একটি গাড়ি ভাড়া করে এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ রওনা হয়েছিলেন দিঘার দিকে।

মুম্বই রোড ধরে দিঘার দিকে যাওয়ার পথে তামুলতলার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তার একেবারে ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিল একটি পেট্রোল ভর্তি ট্যাঙ্কার। পর্যটকদের গাড়িটি তার পিছনে ধাক্কা মারে।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইমতিয়াজ, মোজফফর, শান মহম্মদ এবং তারিকুলের। গুরুতর জখম অবস্থায় রাহুলকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাঙ্কারটির চালককে আটক করেছে। তবে হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ট্যাঙ্কারটি একেবারে ধার ঘেঁষেই দাঁড়িয়েছিল। দুর্ঘটনা মুহূর্তে গাড়িটির গতি ছিল প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। চালক বা আরোহী— কারও সিট বেল্টই বাঁধা ছিল না। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ছয় যুবক গল্প করতে করতেই যাচ্ছিলেন। তার উপর গতি বেশি থাকায় কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। তারই জেরে এই দুর্ঘটনা।

গাড়ির একেবারে পিছনের আসনে বসেছিলেন বখতিয়ার। জানা গিয়েছে, তাঁর চোট সামান্যই। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘হইহুল্লোড় করতে করতেই আসছিলাম। মাঝপথে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বড় একটা ঝাঁকুনিতে চোখ খুলে দেখি একটা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসে রয়েছি।’’

ওই রাতেই অসম থেকে মৃতের পরিজনেরা বাগনান থানায় এসে পৌঁছেছেন। ওই পাঁচ যুবকেরই বাড়ি নলবাড়ি জেলার মোকলমা থানা এলাকায়। সকলেই ছোটখাট ব্যবসা করেন। এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখতেই বেশ কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন তাঁরা।

National Highway Road Accident Bagnan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy