Advertisement
E-Paper

হুগলির ৬ নেতাকে শো-কজ় তৃণমূলের

আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেন ছাড়াও আরও পাঁচ দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০৪:১৪
প্রতীকী ছবি। 

প্রতীকী ছবি। 

আমপানে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে হুগলির চণ্ডীতলার গরলগাছা পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানকে আগেই বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। এ বার ত্রাণ-বণ্টনে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ-সহ নানা অভিযোগে আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেন ছাড়াও আরও পাঁচ দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

সোহরাব ছাড়াও শনিবার যে পাঁচ জনকে শো-কজ় করা হয়, তাঁরা হলেন ধনেখালির দাদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাকির হোসেন মণ্ডল, ওই পঞ্চায়েতের সদস্য রূপম ভাবক, ধনেখালির তৃণমূল নেতা রমজান আলি, পুড়শুড়ার তৃণমূল নেতা শেখ সাকিম এবং পুড়শুড়ার শ্যামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল মিদ্দে। সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব।

তৃণমূল সূত্রের খবর, সোহরাবের বিরুদ্ধে আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ মোট ১৭ জনকে অনৈতিক ভাবে আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বন দফতরের অনুমতি না নিয়ে ৫০টি গাছ বিক্রির অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দলীয় সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সোহরাব বলেন, ‘‘চিঠি পেলে উত্তর দেব। আমার পাঠানো তালিকা নিয়ে কোনও তদন্ত ছাড়াই আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’’

যাঁদের শো-কজ়

• সোহরাব হোসেন (আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান)

• আব্দুল মিদ্দে (শ্যামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান)

• শেখ সাকিম (খানাকুল-১ ব্লক যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি)

• জাকির হোসেন মণ্ডল (দাদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান)

• রূপম ভাবক (দাদপুর পঞ্চায়েতের সদস্য)

• রমজান আলি (ধনেখালির তৃণমূল নেতা)

জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, জাকির, রূপম এবং রমজানের বিরুদ্ধেও আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা বিলিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে। মোট ২০ জন আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের তাঁরা অনৈতিক ভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। পুড়শুড়ার তৃণমূল নেতা শেখ সাকিম এবং আব্দুল মিদ্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সরকারকে রয়্যালটি না দিয়ে নদী থেকে বালি তোলার কাজে যুক্ত।

অভিযোগ এড়িয়ে জাকিরের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। যা জানাবার দলকেই জানাব।’’ রমজান ‘‘ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছি’’, বলে ফোন কেটে দেন। রূপম ফোন ধরেননি। হোয়াটস্অ্যাপের উত্তর দেননি। সাকিমের দাবি, “আমার নামে অভিযোগ, আমি নাকি সিন্ডিকেট করে বালি চুরি করে বিক্রি করছি। দলকে শো-কজ়ের উত্তর দিচ্ছি। তবে, আমি এই ঘটনায় কোনও ভাবে যুক্ত নয়। তা প্রমাণ করে দেব। দোষী প্রমাণ করতে পারলে দল এবং প্রশাসন যা সাজা দেবে, তা মাথা পেতে নেব।”

আব্দুল মিদ্দে আবার অভিযোগের নেপথ্যে বিরোধীদের চক্রান্ত দেখছেন। তাঁর দাবি, “বিরোধীরা চক্রান্ত করে মিথ্যা আভিযোগ তুলেছে। দল এবং প্রশাসন তদন্ত করুক। দলের চিঠির উত্তর পাঠাচ্ছি।”

সাকিম এবং আব্দুলের মদতে আরামবাগে মুণ্ডেশ্বরী নদীর পুরশুড়া এবং খানাকুলের বড়দিগরুই ঘাট সংলগ্ন এলাকায় যন্ত্র বসিয়ে বেআইনি উপায়ে বালি তোলার অভিযোগ ছিল। গত ২০ জুন স্থানীয় বাসিন্দারা বালি চুরি রুখেছিলেন। আটক করেছিলেন বালি তোলার যন্ত্র এবং তার চালককে। পরে এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে চালককে গ্রেফতার করেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় যন্ত্রটি। সে দিনও অবশ্য ওই দুই নেতা বালি চুরির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছিলেন। দুই নেতার বিরুদ্ধে এ অভিযোগও ওঠে যে, স্থানীয় মানুষ বালি চুরির প্রতিবাদ করলে তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy