এক জেলায় ভোট আজ, সোমবার। পাশের জেলায় আগামী শনিবার। তার আগে হাওড়া ও হুগলি— দুই জেলাতেই রাজনৈতিক হানাহানিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট যত গড়াচ্ছে, যতই সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে উঠছে, ততই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে তৃণমূল। হারের সামান্য আশঙ্কাতে তাই হামলা চালাচ্ছে। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
শনিবার আরামবাগের রাংতাখালি এবং খানাকুলের রামপ্রসাদে চার বামকর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে রাংতাখালির বিশ্বনাথ হাজরা এবং রামপ্রসাদের কাদের আলি খাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। খানাকুলের ঘটনায় কেউ ধরা না পড়লেও রাংতাখালির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিমাই দাস, সৌমেন রায় এবং তপন দলুই নামে তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়াও আরামবাগে নৈসরাইতে মুন্সি মোশারফ হোসেন নামে এক সিপিএম কর্মীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের যুবনেতা মির চঞ্চলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল জোটের নির্বাচনী প্রচার-মিছিলে হাঁটার ‘অপরাধে’ রাংতাখালির সিপিএম এবং সিপিআই সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিলই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে খেতে কাজে যাওয়ার পথে বিশ্বনাথ হাজরা-সহ তিন বাম কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই রাতেই রামপ্রসাদের কাদের আলি খাঁ দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন। তাঁকে এলাকার এক তৃণমূল নেতা এবং তাঁর লোকজন লাঠি ও রড নিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
কাদের বলেন, ‘‘পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পরে দলীয় কার্যালয়টি সম্প্রতি খোলে। তার পর থেকে আমিই কার্যালয়টি নিয়মিত খুলছি। সেখানে ভিড়ও হচ্ছে। সেই সব রাগ উগরে দিয়েই ওরা পেটাল। বোমাও ফাটিয়েছে।”
ওই রাতেই আবার হাওড়ার আমতার কুমারিয়া গ্রামে তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জখম হন পাঁচ জন। দু’টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এর পরে রবিবার সকালে আমতারই নরিট গ্রামে কংগ্রেসের এক কর্মীর উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দু’টি জায়গাতেই গোলমালের পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy