উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। —নিজস্ব িচত্র
ফের চিনা মাঞ্জায় রক্তাক্ত হলেন এক যুবক। এ বারের ঘটনাস্থল উলুবেড়িয়ার রেল উড়ালপুল। এর আগেও জেলায় চিনা মাঞ্জায় আহত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এক যুবকের মৃত্যুও হয়েছিল বছর দেড়েক আগে। বুধবার দুপুরের ঘটনায় আহত হয়েছেন উলুবেড়িয়ার মৌবেশিয়ায় বাসিন্দা স্নেহাংশু মণ্ডল। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্নেহাংশু বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে জরুরি কাজের জন্য মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলাম। উড়ালপুলে ওঠার পরেই ঘুড়ির সুতো গলায় জড়িয়ে যায়। কোনও রকমে বাইক দাঁড় করিয়ে সুতো ছাড়িয়ে নিই। ততক্ষণে গলায় বেশ কিছুটা বসে গিয়েছিল সুতো। গলার একাংশ কেটে গিয়েছিল। প্রচুর রক্তপাত হয়েছে।’’ এরপর উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে যান স্নেহাংশু। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে ছেড়ে দেন। ‘‘বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলাম,’’ বললেন আহত যুবক। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপার সৌম্য রায় বলেন , ‘‘এই সুতো খুবই বিপজ্জনক। বাজারে তল্লাশি চালানো হবে। প্রয়োজন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বছর আড়াই আগে বাগনানের দেউলটিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে চিনা মাঞ্জা গলায় জড়িয়ে গুরুতর আহত হন দুই যুবক। তাঁদের কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। পরে এক জনের মৃত্যু হয়। জাতীয় সড়ক ও রেল লাইনের ধারে অথবা বাড়ির ছাদে অনেককেই এই সুতোয় ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায়। সরু এই প্লাস্টিকের সুতো সহজে ছেঁড়ে না। বহু পাখিও এতে জড়িয়ে মারা যায়। এই ধরনের সুতো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এর ব্যবহার থামানো যায়নি। অনেক জায়গায় খোলা বাজারেই ওই সুতো বিক্রি হয়। দিন দশেক আগে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে চিনা মাঞ্জা গলায় পেঁচিয়ে আহত হয়েছিলেন বাউড়িয়া কেটোপোলের বাসিন্দা শাশ্বত পাড়ুই। তিনি বলেন, ‘‘সে দিনের ঘটনা আজও চোখের সামনে ভাসছে। একটি ঘুড়িকে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে রাস্তায় এসে পড়তে দেখেছিলাম। তারপর হঠাৎ দেখলাম, গলায় সুতো জড়িয়ে গিয়েছে। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই সুতো যারা বিক্রি করে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy