কলকাতায় আগেই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার হাওড়াতেও হল।
দুর্গাপুজোয় হাওড়া শহরে বড় রাস্তার উপরে তোরণ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল পুলিশ। কয়েক বছর আগে হাইকোর্টও কলকাতার বড় পুজো উদ্যোক্তাদের এই নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই কয়েকটি ক্লাব ছাড়া অধিকাংশ পুজো ওই তোরণ করা বন্ধ করে দেয়। হাওড়া পুলিশের বক্তব্য, মূলত নিরাপত্তার কারণে হাওড়ায় এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, পুজো উদ্যোক্তাদের বলা হয়েছে, বেশি উচ্চতার কাঠের সিঁড়ি করে মণ্ডপ করা যাবে না। সিঁড়ি করলেও তার উচ্চতা কম রাখতে হবে এবং কত উচ্চতায় হচ্ছে, তা পুলিশকে জানাতে হবে।
সম্প্রতি হাওড়ায় বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। সেখানে ছিলেন সিটি পুলিশের সমস্ত পদস্থ কর্তা। পুলিশ জানিয়ে দেয়, যে হেতু এ বার পুজো সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে, তাই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তার উপরে তোরণ করলে বৃষ্টি বা ঝড়ে দড়ি ও বাঁশের মণ্ডপ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রাস্তার দু’পাশ জুড়ে বড় বড় তোরণ এ বার বন্ধ। তার পরিবর্তে তোরণগুলি ইংরেজি ‘এল’ আকৃতির করা যেতে পারে।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে আগাম বৈঠকে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য আরও কয়েকটি ব্যবস্থা নিতে বড় পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (ট্র্যাফিক) অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেশি উচ্চতার কাঠের সিঁড়ি হলে মানুষের উঠতে-নামতে সমস্যা হয়। অনেকটা সময়ও লাগে। যার ফলে মণ্ডপে ঢোকার লাইন বেড়ে গিয়ে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। তা ছাড়া, বেশি উচ্চতার সিঁড়ি করে মণ্ডপ করলে তা বিপজ্জনকও হয়ে দাঁড়ায়। এ সব ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।’’
হাওড়া এমনিতেই ঘিঞ্জি। ভিড় সামলাতে তাই কোথায় কোথায় পার্কিং ও পুলিশ সহযোগিতা বুথ করা হবে, তা-ও বৈঠকে ঠিক করা হয়। তা ছাড়া, বড় মণ্ডপগুলিতে কী ভাবে দর্শনার্থীরা ঢুকবেন-বেরোবেন, তার গেট কোথায় হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
হাওড়া পুরসভা, বিএসএনএল, পূর্ত দফতর, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও কেব্ল অপারেটরদের সঙ্গেও একটি আলাদা বৈঠক হয় পুলিশের। ওই বৈঠকে পুরসভাকে যত শীঘ্র সম্ভব রাস্তা মেরামতি ও রাস্তা পরিষ্কার করার অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া, জেলা স্বাস্থ্য দফতর কোন মণ্ডপে ফার্স্ট এড ক্যাম্প করবে, রেড ক্রস কোথায় ক্যাম্প করবে, তা নিয়েও কথা হয়। বিএসএনএলকে বলা হয়েছে, রাস্তার নীচে সংযোগ মেরামত করে দিতে।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মণ্ডপের উচ্চতা থেকে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা— হাইকোর্টের দেওয়া সব নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy