প্রতীকী ছবি।
মাসচারেক আগে খানাকুলের রাজহাটি-২ পঞ্চায়েতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় পৌনে ৫ লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। গ্রামোন্নয়ন্ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের চতুর্দশ অর্থ কমিশনের ওই টাকার জালিয়াতি কাণ্ডের এখনও কিনারা হয়নি। তবে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরো টাকাই ক্ষতিপূরণ দিল পঞ্চায়েতকে।
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক রানা বিশ্বাস বলেন, “ব্যাঙ্কের গাফিলতিতেই চেক জালিয়াতি হয়েছিল। আমাদের অভিযোগ পেয়ে ব্যাঙ্ক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।”
ওই পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে স্থানীয় রাজহাটি শাখার সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে। সেগুলির মধ্যে ০৭২৬০১১০০০১ অ্যাকাউন্ট নম্বরটি চতুর্দশ অর্থ কমিশনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন করতে যৌথ ভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান শেফালি প্রামাণিক এবং নির্বাহী সহায়ক দিলীপ বিশ্বাসের সই লাগে। গত এপ্রিল মাসে পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টগুলির পাশবই আপডেটের পর ধরা পড়ে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ মার্চের কাটা চেকে জনৈক দীপক রাজ শ্রীবাস্তব নামে পটনার এক বাসিন্দা ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭২০ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল থানায় এফআইআর করেন পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক দিলীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, “আমার এবং প্রধানের সই জাল করে টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ওই জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষর যোগ রয়েছে।’’ তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় খুশি সকলেই। প্রধান বলেন, “এখানকার মতো বন্যাপ্রবণ এলাকায় উন্নয়নের টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলাম। ব্যাঙ্ক নিজেদের ত্রুটির দায় নেওয়ায় আমরা খুশি।”
সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কটির শাখা ম্যানেজার প্রিন্স পটেল গুপ্ত বলেন, “পুলিশ এখনও জালিয়াতির কিনারা করতে পারেনি। আমাদের আঞ্চলিক এবং প্রধান অফিস বিষয়টি খতিয়ে দেখে এই ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্ত কত দূর? আরামবাগের এসডিপিও কৃশানু রায়ের জবাব, ‘‘তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy