হাজির: কানাইপুরে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
এ যেন ‘বিজেপি জুজু’!
ব্যবধান ঘণ্টাছয়েকের। বৃহস্পতিবার কোন্নগরের কানাইপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মিসভার পাল্টা সভা করল শাসকদল! এক সময়ে সিপিএম কোথাও সভা করলে ঠিক যে ভাবে পাল্টা সভা করত তারা।
আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ ঝুলছে। কিন্তু শাসকদলের সঙ্গে বিরোধী বিজেপির তরজা ক্রমশ বাড়ছে। এ দিন কানাইপুরের একটি অনুষ্ঠান-বাড়িতে কর্মিসভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানে দলের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লাগোয়া হিন্দমোটর, উত্তরপাড়া থেকেও দলের কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে ভিড় করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি ঠিক কোন পন্থায় কর্মীরা ভোট-প্রস্তুতি সারবেন, সে ব্যাপারে আলোচনা করেন দিলীপ।
ওই কর্মিসভা শেষ করে দিলীপ বেরনোর পরেই শাসকদল ঘোষণা করে এ দিন একই জায়গায় তারাও সভা করবে। শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। এতেই এলাকাবাসীর একাংশের প্রশ্ন, ভোটের মুখে তৃণমূল কি বিজেপিকে ভয় পেতে শুরু করল? না হলে তড়িঘড়ি সন্ধ্যাতেই শাসকদলের সভা করার কি প্রয়োজন পড়ল?
শাসকদল অবশ্য ভয় পাওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। কানাইপুরের ওই অনুষ্ঠান-বাড়িতে তাদের পাল্টা কর্মিসভাটির মুল উদ্যোক্তা উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি আমাদের দল ভাঙানোর চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করছে। যদিও সেই কাজে তারা সফল হয়নি। আমাদের সভার উদ্দেশ্য, বেশি সংখ্যায় দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কর্মিসভা করে বিজেপি-র অপচেষ্টাকে রোখার। আমাদের ব্লক স্তরের নেতারাই এই সভার আয়োজক।’’
বিধায়ক যা-ই ব্যাখ্যা দিন, বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু শাসকদলের ওই আয়োজনে খুশি। দলের ওবিসি শাখার রাজ্য নেতা, চুঁচুড়ার বাসিন্দা স্বপন পাল বলেন, ‘‘গুরুত্ব দিলে কে না খুশি হয় বলুন? দিলীপদা কোন্নগরের কর্মিসভা শেষ করে পরবর্তী সভাস্থলে পৌঁছতেই কানে এল তৃণমূল রাতে কোন্নগরে সভা করবে। আমাদের যে শাসকদল হাড়েমজ্জায় ভয় পাচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ।’’
এ দিন চণ্ডীতলা, চুঁচুড়া এবং পান্ডুয়াতেও দিলীপ কর্মিসভা করেন। ওই তিন জায়গায় অবশ্য তৃণমূল পাল্টা সভা করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy