Advertisement
E-Paper

অফিসঘরের তালা খুলতে রাজ্যপালকে চিঠি সমীরণের

হুগলি জেলা পরিষদের পঞ্চায়েত কাউন্সিলের অধ্যক্ষ সমীরণ মিত্রের ঘরে তালা পড়েছে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তীর নির্দেশে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তালাচাবির ‘লড়াই’ দাঁড়াচ্ছে পত্রযুদ্ধে!

হুগলি জেলা পরিষদের পঞ্চায়েত কাউন্সিলের অধ্যক্ষ সমীরণ মিত্রের ঘরে তালা পড়েছে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তীর নির্দেশে। তার প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং জেলা প্রশাসনকে ই-মেল করলেন সমীরণ। চিঠিও পাঠান। পাল্টা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মনোজ জানালেন, দলত্যাগ-বিরোধী আইনে সমীরণের পদ খারিজের জন্য তাঁরাও চিঠি দিচ্ছেন।

গত শনিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হরিপালের বর্ষীয়ান নেতা সমীরণবাবু। তৃণমূলের টিকিটে জিতে পাওয়া পদ দল ছাড়ার পরেও কেন ভোগ করবেন, এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার মনোজ তাঁর ঘরে তালা ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সমীরণবাবুকে জেলা পরিষদে ঢুকতে না-দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জেনে বুধবার রাজ্যপাল, জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও-সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে সমীরণবাবু ওই কাজকে ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করে ঘরের তালা খোলার আর্জি জানান। মনোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি তুলেছেন তিনি। অধ্যক্ষের প্যাডেই তিনি ওই চিঠি পাঠান। চিঠির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’

মঙ্গলবার সমীরণবাবু জানিয়েছিলেন, বুধবার জেলা পরিষদ ভবনে যাবেন। তবে, যাননি। তিনি জানান, দলীয় কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে অবশ্যই যাবেন। পোড়খাওয়া ওই নেতার কথায়, ‘‘জেলা পরিষদ প্রশাসনিক কার্যালয়। রাজনৈতিক ঔদ্ধত্য দেখানোর জায়গা নয়। অথচ সেটাই করা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের মতো কাজ করা হচ্ছে।’’

পক্ষান্তরে, মনোজের বক্তব্য, ‘‘নৈতিকতার প্রশ্নে তালা দিয়ে আমরা ওঁর বিবেককে ঠোকা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। উনি নিজেকে প্রশ্ন করুন।’’ মনোজ জানিয়ে দেন, দলত্যাগ-বিরোধী আইনে সমীরণবাবুকে পদচ্যুত করতে বর্ধমানের ডিভিশনাল কমিশনার, হুগলির জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। চিঠি দেওয়া হবে সমীরণবাবুকেও। মনোজের কথায়, ‘‘এর পরেও উনি অধ্যক্ষের চেয়ারে থাকতে পারলে, থাকবে‌ন।’’

এ ব্যাপারে সমীরণবাবু জানান, আগে চিঠি হাতে পেলে তার বিষয়বস্তু দেখে পদক্ষেপ করবেন। মনোজকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পঞ্চায়েত আইন নিয়ে যাঁরা নাড়াঘাঁটা করেন, এই বিষয়টি তাঁরা দেখলেই ভাল।’’

তৃণমূলের অন্দরেই অবশ্য অধ্যক্ষের ঘরে তালা দেওয়ার সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। জেলা পরিষদ সদস্য তথা খানাকুলের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শৈলেন সিংহ বলেন, ‘‘আমি মনে করি, তালা দেওয়া অনুচিত হয়েছে। জেলা পরিষদের মতো জায়গায় এটা শিষ্টাচার নয়। তা ছাড়া, এতে বিজেপিরই প্রচার হচ্ছে।’’

BJP Jagdeep Dhankhar TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy