তাণ্ডবের চিহ্ন।
জমি দখলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল পাঁচলার জালালসি গ্রামে। বোমাবাজি, বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট থেকে শুরু করে দু’টি বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনায় এক মহিলা সহ দু’জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে খান পনেরো বোমা উদ্ধার করা হয়। পাঁচ জকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাওড়া জেলার গ্রামীণ পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘একটি মসজিদের জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’পক্ষই থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জালালসি এলাকায় গ্রামবাসীদের দান করা ১৩ কাঠা জমিতে মসজিদ, ঈদগা ও কবরস্থান রয়েছে। জমির কিছুটা অংশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। প্রায় ১ কাঠার মতো ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আসগর। কিন্তু গ্রামেরই বাসিন্দা নাসিম হোসেন ও অন্যরা তাতে আপত্তি জানান। তাঁরা দাবি করেন, ওই ফাঁকা জমি মসজিদকেই ছেড়ে দিতে হবে। কয়েক বছর ধরেই ওই জমিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বিবাদ চলছে। প্রশাসনের তরফে কয়েকবার সমস্যা মেটানোর চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু দু’পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
ইটের ঘায়ে মাথা ফেটেছে মহিলার।
সম্প্রতি ওই জমিতে শেখ আসগর নির্মাণ কাজের তোড়জোড় শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। এতে বাধা দেন নাসিম। তা নিয়ে মাসখানেক ধরেই গ্রামে উত্তেজনা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বেধে যায়। দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে থাকে। চলে ইটবৃষ্টি। খান দশেক বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাটও চালানো হয় বলে অভিযোগ। একটি জরির কারখানা ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
আসগারের লোকজনের দাবি, নাসিমের দলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট চালায়। ছোড়া ইটের ঘায়ে এক মহিলার মাথা ফেটে যায়। অভিযোগ অস্বীকার করে নাসিমের পাল্টা দাবি, আসগরের লোকেরাই গোলমাল পাকায়। খবর পয়ে পুলিশ গেলে তাদের গাড়িতেও ইট-পাটকেল পড়ে। পরে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আসগরের তরফে সেখ বাসারত বলেন, ‘‘লিখিত ভাবে ওই জমি আমাদেরই। আমরা বলেছিলাম মসজিদের যতটা প্রয়োজন ততটা জমিই দেব। তার বেশি দেওয়া হবে না। তারপরেও ওরা আমাদের উপরে হামলা চালাল।’’
গোলমালের পর এলাকায় পুলিশ ও র্যাফ। ছবি: সুব্রত জানা।
নাসিমের দাবি, ‘‘ওই জমি মসজিদকে দেওয়া হয়েছিল। তাই তা মসজিদেরই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy