প্রায় তিরিশ বছর ধরে শ্যামপুরের একটি ইটভাটায় কাজ করছেন নরেশ জানা। আর কয়েক বছর পরে অবসর নেবেন। তখন হয়তো তাঁকে ফিরতে হবে খালি হাতে!
কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শ্যামপুরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় দেড়শো ইটভাটার কয়েক হাজর শ্রমিকের বেশিরভাগেরই আশঙ্কা একই রকম। কারণ, প্রভিডেন্ড ফান্ড (পিএফ) অ্যাকাউন্টে তাঁদের টাকা জমা পড়ে না। এ জন্য ভাটা-মালিকদেরই দুষছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন অজুহাতে মালিক-পক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভাটা-মালিকদের সংগঠন অবশ্য অভিযোগ মানেনি।
প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনারের কলকাতা আঞ্চলিক দফতর সূত্রের খবর, স্থায়ী, অস্থায়ী, মরসুমি সব ধরনের ভাটা-শ্রমিকের পিএফ প্রাপ্য। বছর দশেক আগে সেই আইন চালু হয়। নিয়মানুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা কেটে নেওয়ার কথা ভাটা-মালিকদের। সেই পরিমাণ টাকা দেবেন মালিকেরাও। মিলিত এই টাকা জমা পড়বে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ড ফান্ডে। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে শ্রমিকেরা সেই টাকা সুদ-সহ ফেরত পাবেন সরকারের কাছ থেকে। দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রভিডেন্ড ফান্ড তহবিলে যদি শ্রমিকদের টাকা জমা না-দেওয়া হয়, তা হলে ভাটা-মালিকেরা বেআইনি কাজ করছেন।