Advertisement
E-Paper

ফের গোঘাটে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জখম ৪

এলাকায় ক্ষমতা দখল ঘিরে ফের সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের বাবুরামপুর গ্রাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জেলা এবং রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, নানা পদক্ষেপ, সবই ব্যর্থ। এলাকায় ক্ষমতা দখল ঘিরে ফের সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের বাবুরামপুর গ্রাম। গোঘাটের দুই বিবাদমান নেতা ফরিদ খান এবং আতাউল হক গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হন দু’পক্ষের ৪জন। তাঁরা আপাতত কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট-২ ব্লক এলাকায় তৃণমূল নেতা আতাউল হক এবং এককালে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ফরিদ খানের দ্বন্দ্বে বছর কয়েক ধরেই মারপিট এবং সংঘর্ষ লেগে আছে পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে। গত এক বছরের মধ্যে দু’পক্ষের সংঘর্ষ এবং অশান্তি নিয়ে অন্তত ১৫০টির বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে থানা সূত্রে খবর। সম্প্রতি ফের পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের উপপ্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়। ফরিদ খানকে উপপ্রধান হিসাবে দল মনোনীত করলেও ভোটাভুটি করে ফরিদ খানকে উপপ্রধানের পদ দেননি সংখ্যাগরিষ্ঠ আতাউল হক গোষ্টীর পঞ্চায়েত সদস্যরা। দু’জনের গোষ্ঠী সংঘর্ষ রুখতে দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মতো দুই বিবাদমান নেতার সাহচর্যে থাকা মোট ২৯ জন কর্মীকে তাড়িয়ে এবং একাধিকবার স্থানীয় অঞ্চল কমিটি ভেঙেও লাভ হয়নি।

কী ঘটেছিল সোমবার রাতে?

অভিযোগ, আতাউল হক অনুগামী সামানুল আলি নামে এক ঠিকাদারকে মারধর এবং আলম আলি নামে একজনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপরই আতাউল হক গোষ্ঠীর লোকরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফের মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল, বোমা নিয়ে সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ফরিদ খানের অভিযোগ, “বিনা প্ররোচনায় আতাউল হক, আতাউল দিগার-সহ তাদের লোকরা আমার উপর হামলা চালায়। বোমা ছোড়ে। পুরো বিষয়টা উপর নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” এ ঘটনায় আতাউল হক-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ফরিদ খান। অন্য দিকে আতাউল হক এবং দলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আতাউল দিগার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে তাঁরা ছিলেন না। আতাউল দিগারের পাল্টা অভিযোগ, “ফরিদ লাগাতার গ্রামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গ্রামবাসীরাই প্রতিবাদ করেছেন।”

এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “দলের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় অশান্তি করেছে যারা, তাদের গ্রেফতার করবে পুলিশ। ফরিদের সঙ্গে যা হয়েছে, তাও দল সমর্থন করে না। দলীয়ভাবেও বিষয়টার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”

Goghat TMC Conflict Clash Injured
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy