প্রতীকী ছবি।
বাংলা তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে দুপুরবেলা বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে চিকেন স্টু খেতে দিয়েছিলেন কলেজের শিক্ষক। অভিযোগ, সামান্য খাবার মুখে তোলার পরেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ওই তরুণী। এর পরেই ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
সে দিন কোনও রকমে শিক্ষকের হাত থেকে বাড়ি ফিরে এলেও তার পর থেকেই ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য তাঁকে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ ছাত্রীর। হুমকি দেওয়া হয় ঘটনাটি কাউকে জানালে তাঁর ক্ষতি হয়ে যাবে। দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতনের পরে শেষে ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ জানান।
ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরা থানা এলাকার চ্যাটার্জি পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চ্যাটার্জি পাড়ার বাসিন্দা ডোমজুড়ের একটি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় সস্ত্রীক স্থানীয় একটি ফ্ল্যাটে থাকলেও তিনি টিউশনি পড়াতেন ফ্ল্যাট থেকে কিছুটা দূরে একটি ভাড়া বাড়িতে। ছাত্রীর অভিযোগ, ওই ভাড়া বাড়িতেই ১১ মে তাঁকে জোর করেই ডেকে পাঠান শিবশঙ্কর। বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের খাতা দেখতে দেওয়ার পরে ওই শিক্ষক তাঁকে চিকেন স্টু খেতে দেন। ছাত্রীর অভিযোগ, দেড় চামচ খাওয়ার পরে তাঁর বমি পেতে থাকে এবং তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তখনই শিবশঙ্কর তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন, ধর্ষণেরও চেষ্টা করেন। কিন্তু তরুণী কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে প্রথমে কিছু না বললেও হঠাৎ তিনি কলেজ যাওয়া বন্ধ করায় বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়। শেষে তরুণী বাড়িতে ঘটনাটি জানান।
ওই তরুণীর অভিযোগ, ইতিমধ্যেই শিবশঙ্কর তাঁকে ফোনে হুমকি দেন ঘটনাটি বাড়িতে বা কলেজের কাউকে বললে তিনি তাঁর বড় ধরনের ক্ষতি করে দেবেন। ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘এই মানসিক নির্যাতন সহ্য হচ্ছিল না। তাই ঠিক করি প্রতিবাদ করব। এর পরেই ব্যাঁটরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।’’
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার শিবশঙ্করকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই থেকেই তিনি পুলিশি পাহারায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরেই তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy