Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টোল প্লাজায় অবাধ পার্কিং

জাতীয় সড়কের ধারে পার্কিংয়ের জন্য কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে সম্প্রতি। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। তাই হুগলির দিকের জাতীয় সড়ক এখন প্রায় পার্কিং শূন্য। অন্য দিকে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে নিজেদের এলাকায় কোনও লরি, ট্রাক ঢোকার অনুমতি দেয় না বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশ।

বেআইনি: বালি এলাকার টোল রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাক। নিজস্ব চিত্র

বেআইনি: বালি এলাকার টোল রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাক। নিজস্ব চিত্র

শান্তনু ঘোষ
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:০৮
Share: Save:

এ যেন পার্কিংয়ের মুক্তাঞ্চল!

হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের বালি এলাকায় দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতুর টোল প্লাজার রাস্তায় পরপর দাঁড়িয়ে থাকে লরি, ট্রাক, ট্রেলার। এর জেরে ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিতে ধাক্কা মারার সম্ভাবনা যেমন হচ্ছে, পাশাপাশি নিরাপত্তায় ঘাটতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে।

জাতীয় সড়কের ধারে পার্কিংয়ের জন্য কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে সম্প্রতি। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। তাই হুগলির দিকের জাতীয় সড়ক এখন প্রায় পার্কিং শূন্য। অন্য দিকে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে নিজেদের এলাকায় কোনও লরি, ট্রাক ঢোকার অনুমতি দেয় না বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশ। তাই সেখানে রাস্তার ধারে লরি-ট্রাকের পার্কিং প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে এই দুইয়ের মাঝে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের বালি এলাকার এই টোল প্লাজা পার্কিংয়ের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে টোলের টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে লরি, ট্রাক, ট্রেলার। আবার কোনওটির দরজা বন্ধ করে সারা দিনের জন্য চলে যাচ্ছেন চালক। ফলে জানা যাচ্ছে না, সেটি কোনও চোরাই গাড়ি কি না অথবা ভিতরে কোনও অসামাজিক কাজকর্ম চলছে কি না। এমনকী ভিতরে কোনও মৃতদেহ আছে কি না তা-ও জানতে পারা যায় না।

দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু টোল প্লাজার চিফ অপারেশনস অফিসার প্রবীণ বসন্ত বলেন, ‘‘পার্কিং সরিয়ে দিলেও আবার লরি এসে দাঁড়িয়ে যায় ওখানে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক ও পুলিশকর্মীরা প্রতি দিনই দু’নম্বর জাতীয় সড়কের জিরো পয়েন্ট থেকে টোল প্লাজা কাউন্টারের আগে পর্যন্ত টোল রাস্তার পার্কিং সরিয়ে দেন। কিন্তু পুলিশের তাড়া খেয়ে সেই লরি, ট্রাক ও ট্রেলারগুলি ওই রাস্তা থেকে সরে টোল কাউন্টার পার করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। দিনে ডানলপমুখী রাস্তায় একটি লাইনেই পার্কিং হয়। অভিযোগ, সন্ধ্যায় টোল কাউন্টার পেরিয়ে বালিঘাট আন্ডারপাস পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির তিনটি লাইন তৈরি হয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, টোলে ঢুকে গাড়ি সরানোর ক্ষেত্রে দু’টি সমস্যা আছে। এক, ডানলপমুখী রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়লে মাঝে বেরোনোর আর কোনও পথ নেই। দক্ষিণেশ্বর পেরিয়ে ডানলপের কাছে গিয়ে সেতু থেকে নেমে ফিরে আসতে হবে বালিতে। এ জন্যই পুলিশের জিপ, বাইক টোল প্লাজার ভিতরে ঢুকতে পারে না। এমনকী রেকার দিয়েও ওই লরি সরানো যায় না। আবার দু’-তিন কিলোমিটার হেঁটেও পার্কিং দেখা সম্ভব নয় পুলিশের।

প্রবীণবাবু বলেন, ‘‘রাস্তার মাঝে কাট-আউট করলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেন তা হলেই সেটি করা যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE