Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Arambagh

‘গণ্ডিবদ্ধ’ বাজারে ভিড়

অভিযোগ মানেননি এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস। তাঁর দাবি, ‘‘সবাই মাস্ক পরেছিলেন। শারীরিক দূরত্বও বজায় ছিল।”

জনবহুল: তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ড হাটে মানুষের সমাগম। —নিজস্ব চিত্র

জনবহুল: তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ড হাটে মানুষের সমাগম। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০১
Share: Save:

আরামবাগ পুর এলাকা ‘গণ্ডিবদ্ধ’ (কন্টেনমেন্ট জ়োন)হিসেবে ঘোষিত। অথচ, বুধবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বয়েজ স্কুল মাঠে আনাজ বাজারে ভিড় হল। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরঅস্ত্, ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি করে মাল কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। মাস্ক অধিকাংশের মুখে নয়, গলায় ঝুলেছে। বাজারের এই অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বহু মানুষ বাজার না করেই ফিরে যান।

অভিযোগ মানেননি এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস। তাঁর দাবি, ‘‘সবাই মাস্ক পরেছিলেন। শারীরিক দূরত্বও বজায় ছিল।”

অনেকেরই অভিযোগ, এই ‘কন্টেনমেন্ট’ এলাকায় এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়া হয়নি। গত শনিবার ঘোষণা হয়, রবি, বুধ এবং শুক্রবার বাজার খোলা থাকবে। বাকি দিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তিনটি

করে টোটো আনাজ পৌঁছে দেবে। মাছও সাইকেল বা ভ্যানে পৌঁছনো হবে। কিন্তু সোম এবং মঙ্গলবার কোনও ওয়ার্ডেই টোটো বা অন্য কিছুতে ওই সব মাল যায়নি বলে এলাকাবাসীর দাবি। তাঁরা জানান, প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়েই মানুষ মরিয়া হয়ে বাজারে গিয়েছেন এ দিন। কারণ, শুক্রবার থেকে সব আনাজ বাজারই পুরোপুরি বন্ধ রাখার ঘোষণা হয়েছে।

এ দিন বাজারে এসে শাক আর মাছ কিনে ফিরে যান ব্লকপাড়ার গণেশ দেবনাথ। তাঁর অভিযোগ, “প্রশাসন ঘোষণা মতো পরিষেবা দেয়নি। শুক্রবার থেকে বাজার বন্ধ হলে ওযার্ডের ঘরে ঘরে পরিষেবা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই সবাই ঝুঁকি নিয়েও বাজারে গিয়েছেন।” এসডিপিও-র দাবি, তিনটি না-গেলেও একটি করে টোটোতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাল পাঠানো হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE