ইনিও উত্তম। তবে কুণ্ডু নন। উত্তম ভাণ্ডারী। পরিচয়— তারকেশ্বর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর।
তারকেশ্বরে তৃণমূলের উপ-পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডুকে নিয়ে নানা বিতর্ক লেগেই রয়েছে। এ বার এক আলুবীজ ব্যবসায়ীর দোকানের সামনের কালভার্ট ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তম ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে। প্রদ্যুৎ দাস নামে ওই ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক রচপাল সিংহকেও। বিষয়টি পুরপ্রধান স্বপন সামন্তকে জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, অভিযোগ হয়েছে্। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রদ্যুৎবাবুর দোকান তারকেশ্বরের জয়কৃষ্ণ বাজারে। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলর উত্তম ভাণ্ডারীর লোকজন তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁদের দাবিমতো টাকা দিতে রাজি হননি। ব্যবসায়ীর আরও অভিযোগ, তাঁর দোকানের পিছনে এক চিকিৎসকের বাড়ি আছে। কিন্তু রাস্তা ছোট হওয়ায় তাঁর বাড়িতে গাড়ি ঢোকে না। সেই কারণে উত্তমবাবু চেয়েছিলেন, দোকানের কিছুটা অংশ ছেড়ে দিন তিনি। কিন্তু প্রদ্যুৎবাবু রাজি হননি।
তাঁর অভিযোগ, রবিবার মেশিন দিয়ে তাঁর দোকানের সামনে নর্দমার উপরের কালভার্ট ভেঙে দেয় পুরসভার লোকজন। উত্তমবাবু এবং পুর চেয়ারম্যান দাঁড়িয়ে থেকে কালভার্ট ভাঙান।’’
উত্তমবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘জয়কৃষ্ণ বাজার থেকে চাউলপট্টি পর্যন্ত নর্দমা সংস্কারের কাজ হচ্ছে। সেই কারণেই কালভার্ট ভাঙা হয়েছে। সংস্কারের পর ফের তা ঠিক করে দেওয়া হয়। এতে তো কারও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়! তা ছাড়া, পুরপ্রধান নিজেও তো দাঁড়িয়েছিলেন।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘কারও কাছ থেকে টাকা চাইনি। দোকানের পাশে জায়গা ছাড়ার জন্যও চাপ দিইনি।’’ পুরপ্রধান স্বপনবাবু বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীর অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব। ওই ব্যবসায়ীর প্রতি যদি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy