Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গঙ্গায় কলেজ ছাত্রের দেহ, ধৃত তরুণী-সহ ৩

গঙ্গা থেকে উত্তরপাড়ার এক কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে উত্তরপাড়ার ন্যাকাবাবুর ঘাটের কাছ থেকে সৌরভ ঘোষাল (২১) নামে ওই ছাত্রের দেহটি মেলে। তাঁর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বচসার জেরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন বন্ধুরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার এক তরুণী-সহ মৃতের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌমেন দাস, যুবরাজ পাল এবং শম্পা ঘোষ। সকলে উত্তরপাড়ারই বাসিন্দা।

সৌরভ ঘোষাল।

সৌরভ ঘোষাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ০১:২৪
Share: Save:

গঙ্গা থেকে উত্তরপাড়ার এক কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে উত্তরপাড়ার ন্যাকাবাবুর ঘাটের কাছ থেকে সৌরভ ঘোষাল (২১) নামে ওই ছাত্রের দেহটি মেলে। তাঁর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বচসার জেরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন বন্ধুরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার এক তরুণী-সহ মৃতের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌমেন দাস, যুবরাজ পাল এবং শম্পা ঘোষ। সকলে উত্তরপাড়ারই বাসিন্দা।

তদন্তকারী অফিসাররা জানান, মৃতের আরও দুই বন্ধু এই ঘটনায় অভিযুক্ত। তাঁরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। কোনও সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে ওই ঘটনা কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) সুবিমল পাল বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের তরফে থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরভের বাড়ি ভদ্রকালীর রামসীতা ঘাট স্ট্রিটে। তিনি বি কম প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সৌমেন, যুবরাজ, শম্পা-সহ পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির কাছেই ন্যাকাবাবুর ঘাটে আড্ডা দিতে যান সৌরভ। রাত ৯টা নাগাদ শম্পারা সৌরভের বাড়িতে গিয়ে জানান, ঝগড়া করে সৌরভ গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছেন। সৌরভের বাড়ির লোকেরা উত্তরপাড়া থানায় যান। পুলিশ ন্যাকাবাবুর ঘাটে গিয়ে সৌরভের দেহ উদ্ধার করে।

সৌরভের বাড়ির লোকজনের দাবি, গঙ্গার পাড়ে কাদায় মুখ গুঁজে পড়েছিল সৌরভের দেহ। তাঁর নাক-কান এবং মুখে রক্তের দাগ ছিল। সৌরভের বাবা সুকেশবাবু কলকাতা পুলিশের কর্মী। তিনি উত্তরপাড়া থানায় ছেলের বন্ধুদের নামে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ দিন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে সুকেশবাবু বলেন, ‘‘ছেলেকে ওদের সঙ্গে মিশতে বারণ করতাম। কিন্তু ও শুনত না। সেটাই কাল হল। আমাদের সন্দেহ, ছেলেকে ওরা মেরে দিয়েও থাকতে পারে।’’ সৌরভের পড়শিদের অনেকেই এই ঘটনার জন্য বন্ধুদেরই দুষছেন। তাঁদের বক্তব্য, বন্ধুদের ‘বদ’ সঙ্গে পড়েই মরতে হল সৌরভকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE