মঙ্গলবার বিকালে তাগাদায় বেড়িয়ে নিখোঁজ ছিলেন ধনেখালির নারায়ণপুরের এক আলু ব্যবসায়ী। বুধবার সকালে অমর মাইতি(৪৬)নামে ওই ব্যবসায়ীর ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হল পুরশুড়ার জঙ্গলপাড়া শ্মশান চুল্লি সংলগ্ন দামোদর নদীর চরে। পুলিশ জানায়-ব্যবসায়ীর মাথার পিছনে ভারি কিছু দিয়ে থেঁতলানো ছাড়াও ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে মাথা এবং মুখমন্ডলের বিভিন্ন অংশে একাধিক কোপানো হয়েছে। মৃতের ভাই মানিক মাইতি দাদার আলু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অজ্ঞাত লেনদেনকারীদের বিরুদ্ধে খুনের মামালা রুজু করেছেন। পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক ধরে আলু ব্যবসা করছিলেন অমর মাইতি। গত দেড় বছর ব্যবসায় নিজের পাওনা যেমন আদায় হচ্ছিল না, তেমনি তিনিও তাঁর পাওনাদারদের টাকা সময়মত দিতে পারছিলেন না। পাওনাদারদের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হচ্ছিল। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকাল ৫টা নাগাদ তিনি তাঁর পাওনা আদায় করতে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক ধনেখালি এবং তারকেশ্বর থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন তারকেশ্বরের পদ্মপুকুর থেকে ভীমপুরের রাস্তার মাঝে তাঁর মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই রাতেই ধনেখালি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। বুধবার সকালে পুড়শুড়ার জঙ্গলপাড়ায় দামোদরের চরে দেহটি দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুড়শুড়া থানায় খবর দেন।
পুলিশের অনুমান দামোদরের পূর্বপাড় তারকেশ্বর থানা এলাকায় ওই ব্যবসায়ীকে খুন করে বিভ্রান্ত করতেই দেহটি নদীর পশ্চিমপাড়ে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। অমরবাবুর ভাই মানিকের অভিযোগ, ব্যবসায় দাদার কাছে যেমন লোকের পাওনা ছিল, তেমনি কয়েক লক্ষ টাকা দাদারও পাওনা ছিল বিভিন্ন জায়গায়। সেই টাকা আদায় করতে গিয়েই দাদাকে খুন হতে হল। অমরবাবুর ছেলে বছর কুড়ির কৌশিক মাইতি পরিবারের এক সদস্যকে নিয়ে চেন্নাই গিয়েছেন চিকিত্সার জন্য। বাবার খুনের খবর পেয়ে ফিরে আসছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy