ঘটনাস্থল: ভাঙচুর কিশোরীর বাড়িতে।
এলাকার এক কিশোরীকে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তরুণটির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে গোলমাল চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে। বিবাদ সামলাতেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিয়ে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সেখানেই সকলের সামনে তরুণটিকে ‘চড়-চাপড়’ মেরেছিলেন কিশোরীর পরিবারের লোকেরা। এর কয়েক ঘণ্টা পরে, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ ওই তরুণের মৃতদেহ মেলে চুঁচুড়া ও হুগলি স্টেশনের মাঝে রেললাইনের পাশে।
শুক্রবার সকালে শ্রীবাস মণ্ডল (১৮) নামের ওই তরুণের মৃত্যুর খবর ছড়াতেই চুঁচুড়ার কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের মোহালি পাড়ায় কিশোরীর বাড়ি ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রীবাসের দাদা জয়দেব শুক্রবার চুঁচুড়া থানায় ওই কিশোরী ও তার পরিবারের সাত জনের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘মামলাটি জেলা পুলিশ দেখছে। কিশোরী ও কিশোরীর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ এসআরপি (হাওড়া) নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চুঁচুড়ায় রেল লাইনের ধারে এক তরুণের দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’
শ্রীবাসের শোকার্ত পরিজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীবাসের বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগে কটূক্তির অভিযোগ করেছিল কিশোরীটির পরিবার। তারপর দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। সমস্যার সমাধানে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বর্ণালি রায়কে ডেকে এবং এলাকার আর দুই পরিবারকে সামনে বসিয়ে মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার রাতের সেই সালিশি সভার মাঝেই শ্রীবাসকে ওই কিশোরীর পরিবারের লোকেরা চড় মারেন বলে অভিযোগ। বর্ণালিদেবী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ওই পরিবারে অশান্তি চলছিল। সেই কারণে দু’পক্ষকে বসিয়ে মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যেই শ্রীবাসকে সকলের সামনে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদ করেছিলাম আমি।’’
রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বৈঠকের পর সকলেই বাড়ি ফিরে যান। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না শ্রীবাসের। রাত দু’টো নাগাদ তাঁর দেহ মেলে রেললাইনের পাশে। জয়দেববাবুর অভিযোগ, ‘‘ভাইকে প্রকাশ্যে অপমান করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। এতে অপমানিত হয়েই ভাই আত্মহত্যা করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy