তারকেশ্বর থেকে (আরামবাগ হয়ে) গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন ছুটেই চলেছে। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন গেলেও সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত পুরশুড়ার ১৭টি গ্রামের প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। তাই তাঁরা পুরশুড়ার রসুলপুর বালিমাঠে একটি হল্ট স্টেশনের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তা পূরণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারকেশ্বর-আরামবাগ রেলপথের সূচনা থেকেই পুরশুড়ার বালিমাঠে একটি হল্ট স্টেশনের দাবি ছিল। ২০১২ সালের ৪ জুন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হতেই দামোদর নদের পশ্চিমপ্রান্তে রসুলপুর বালিমাঠে হল্ট স্টেশনের দাবি আরও জোরাল হয়। রসুলপুর, সোঁয়ালুক, বৈকুণ্ঠপুর, ভাঙামোড়া, জঙ্গলপাড়া, মির্জাপুর, দেউলপাড়া, খানাকুলের বালিপুর-সহ ১৭টি গ্রামের মানুষ ‘রসুলপুর হল্ট স্টেশন দাবি কমিটি’ গঠন করে আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলন এখনও চলছে।
ওই কমিটির তরফে রেলমন্ত্রী, প্রশাসনিক সব স্তরে একাধিক দরবার করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গণস্বাক্ষর করা দাবিপত্র দেওয়া হয় রেল কর্তৃপক্ষর কাছে। বহুবার রেল অবরোধও হয়েছে। কমিটির কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস, নিরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘তৎকালীন রেলমন্ত্রী তৃণমূলের মুকুল রায়, পরে কংগ্রেসের রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী এবং পরবর্তীতে বিজেপির রেলমন্ত্রীকেও লিখিত আবেদন জানানো হয়।’’ তাঁদের দাবি, ‘‘এলাকার অর্থনীতির স্বার্থে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামান সকলেই রসুলপুর বালিমাঠে একটি হল্ট স্টেশনের প্রয়োজনীয়তার স্বীকার করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’’
সাংসদ বলেন, ‘‘বিষয়টি সংসদে তুলেছি। তদবিরও করছি।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘সব জমিই তিন থেকে চার ফসলি। আলু, বাদাম, পাট, ধান, সরষে, তিল, আখ— সব রকম চাষ হয়। রসুলপুর বালিমাঠে হল্ট স্টেশন হলে কৃষিজাত পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে এবং এলাকার অর্থনীতির উন্নতি হবে।’’ দাবির বাস্তবতা দেখা হচ্ছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy