চলতি আর্থিক বছরের দু’টো মাস অতিক্রান্ত। ভোট পর্ব মিটে শপথগ্রহণও শেষ। কিন্তু উৎসবের আড় ভেঙে তৃণমূল পরিচালিত হুগলির পঞ্চায়েতগুলি এখনও গতিশীল হয়নি বলে অভিযোগ। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ ছাড়া থমকে আছে গ্রামোন্নয়ের অন্য প্রকল্প, পানীয় জলের কল মেরামত থেকে শুরু করে কৃষি, সেচ, স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর উন্নতি ইত্যাদি। নানা নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মানুষ। পরিষেবা না পাওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে পান্ডুয়া ব্লকের জামনা ও সরাই-তিন্না, আরামবাগের তিরোল ও সালেপুর ১, গোঘাট ১ ব্লকের বালি ও কুমুড়শা, বলাগড় ব্লকের জিরাট, হরিপালের কৈকালা, খানাকুল ২ ব্লকের মাড়োখানা, খানাকুল ১ ব্লকের পোল ১ ও ২ ইত্যাদি পঞ্চায়েত এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতেরই গড়িমসির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ‘গত ২৩ মে থেকেই তাঁরা ব্লকে উন্নয়ন সংক্রান্ত জরুরি বৈঠক ডেকে প্রধানদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। সব বিষয় জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে বলেও বিডিওরা জানিয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পঞ্চায়েতেগুলির গড়িমসি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও। মঙ্গলবার জেলা পরিষদে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠক ডাকেন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। সেখানে ছিলেন সব ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পের আধিকারিক এবং জেলার ৩ মন্ত্রী, বিধায়ক। প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতগুলির গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে অন্যতম গ্রাম সংসদ সভা প্রতি বছর মে মাসের মধ্যে হওয়ার কথা। এ বার ভোটের কারণে তা যথা সময়ে হয়নি। কিন্তু ভোট পর্ব মিটে গেলেও কোথাও সেই সভার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি পঞ্চায়েতগুলি থেকে। ফলে উন্নয়নের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy