অস্বাস্থ্যকর, বেহাল শৌচাগার। —নিজস্ব চিত্র।
দরকার উড়ালপুল, সুলভ শৌচাগার
‘আমার শহর ডোমজুড়’ পড়ে ভাল লাগল। আপনাদের পত্রিকার মাধ্যমে এলাকার কয়েকটি বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। বর্তমানে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। যানজট ডোমজুড়বাসীর নিত্যসঙ্গী। ফোকোর দোকান থেকে এলআইসি অফিস পর্যন্ত উড়ালপুল করা যায় কি না ভেবে দেখা উচিত। রাস্তার দু’পাশ থেকে সব্জি ও ফল বিক্রেতাদের অন্যত্র সরানোর আবেদন করছি। অতীতে সরস্বতী নদী বর্তমানে মৃতপ্রায়। ডোমজুড়ের মতো সমৃদ্ধ অঞ্চলে কোনও কমিউনিটি হল নেই। শৌচাগারগুলি প্রায় বেহাল। এই সব সমস্যার সমাধানে চাই গণ-উদ্যোগ। তবে আশার কথা হল সম্প্রতি ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে প্রধান রাস্তার ধারে এলাকার বর্জ্য পদার্থ সারে পরিণত করার প্রকল্প চালু হয়েছে। প্রকল্পটি যাতে সঠিক ভাবে পরিচালিত হয় তার দিকে নজর দিতে হবে।
শ্যামসুন্দর দত্ত। প্রধান শিক্ষক, ঝাঁপড়দহ ডিউক ইনস্টিটিউশন
মহিলা থানা প্রয়োজন
আপনাদের সংবাদপত্রের মাধ্যমে একজন ডোমজুড়বাসী হিসেবে প্রশাসনের কাছে কিছু দাবি জানাতে চাই। ১। কয়েক বছর আগে ডোমজুড়ে বাসস্ট্যান্ড নির্মিত হয়েছে বটে কিন্তু এখনও সেখানে কোনও সুলভ শৌচাগার তৈরি হল না। ২। শহরের যত্রতত্র বেআইনি ভাবে গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। বিষয়টির দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। ৩। ডোমজুড়ের দ্বারকানাথ শবদাহ ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৪। ডোমজুড়-করুণাময়ী বাসরুট চালু হলেও সেটি এখন ডোমজুড়ের বদলে বালি থেকে চলাচল করছে। ৫। ডোমজুড়ের থানা সমন্বয় কমিিটিকে শুধুমাত্র পুজোর পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা বছর কাজে লাগানো উচিত। ৬। আগামী দিনে ডোমজুড়ে একটি মহিলা থানা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
পিয়ালী চক্রবর্তী, উত্তর ঝাঁপড়দহ। ডোমজুড়, হাওড়া
লাইব্রেরিতে বাঁধা হত বোমা
ডোমজুড়ের উপর প্রতিবেদনগুলির (৯-১১ডিসেম্বর, ২০১৪) জন্য অভিনন্দন জানাই। প্রতিবেদনগুলিতে সঠিক ভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ এলাকা ছিল বিপ্লবীদের আঁতুরঘর। ১৮৫৯ সালের নীল বিদ্রোহের প্রভাব পড়েছিল এখানে। শিবতলা সংলগ্ন পাড়াগুলিতে ছিল বিপ্লবীদের আখড়া। বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে, রাধারমণ দত্তের বাড়ি। শোনা যায়, এই বাড়িতেই এক সময় বোমা বাঁধা হত। দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ লাইব্রেরি ছিল বিপ্লবীদের বোমা বাঁধার জায়গা। শুধু স্বাধীনতা আন্দোলনই নয়, দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ গ্রামের ডাঃ অবনী মুখার্জির বাড়ির দোতলায় (এখন বিক্রি হয়ে গিয়েছে) নিয়মিত সাহিত্যের আসর বসত। শোনা যায়, সেখানে আসতেন কথাসাহিত্যিক শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই ঐতিহ্যকে বজায় রাখার দায়িত্ব যেমন সাধারণ মানুষের তেমনই প্রশাসনের। ডোমজুড়ের ইতিহাস নিয়ে আরও বিস্তৃত অনুসন্ধানের কাজ হবে আশা রাখি।
অভিষেক মল্লিক। দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ, ডোমজুড়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy