Advertisement
E-Paper

প্রতিশ্রুতিই সার, বছর ঘুরলেও সংস্কার হয়নি বাঁধের

গ্রামের নদী বাঁধের কাছেই বিষ্ণু-শীতলা-মনসা মন্দির প্রাঙ্গনে প্রায় ৪০ জন মহিলা-পুরুষকে নিয়ে এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুশীল কুমার জানা। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২০
দাবি: বাঁধ সংস্কারের দাবিতে অনশনে বসেছেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র

দাবি: বাঁধ সংস্কারের দাবিতে অনশনে বসেছেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র

প্রতিশ্রুতির পর প্রায় একবছর হয়ে গেলেও নদীবাঁধ সংস্কারের দাবি মেটেনি। ফের সোমবার থেকে আমরণ অনশনে বসলেন আরামবাগের দ্বারকেশ্বর নদ বাঁধ সংলগ্ন সালেপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানুষ।

গ্রামের নদী বাঁধের কাছেই বিষ্ণু-শীতলা-মনসা মন্দির প্রাঙ্গনে প্রায় ৪০ জন মহিলা-পুরুষকে নিয়ে এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুশীল কুমার জানা।

নদী গ্রাস থেকে নিজেদের গ্রামকে বাঁচাতে সুশীল কুমার গতবছর অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে অনশন আন্দোলন শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে ১২ অক্টোবর অনশন তুলে নিয়েছিলেন। সেই সময় বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য অনশন নিয়ে সেচ দফতরকে পাঠানো চিঠির উত্তর তাঁদের দেখান। মহকুমা সেচ দফতর জানিয়েছিল, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর নির্দেশ অনুযায়ী প্রকল্পটির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।” ওই সময় বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে জানান, বাঁধ সংস্কারে কাজ কাজটি আগামী এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে।

সুশীল জানার অভিযোগ, “প্রশাসন ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে এবং ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেও কোনও সাড়া মেলেনি। এদিকে নদী বাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় প্রাচীন গ্রামটা ক্রমশ নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরের বন্যাতে প্রায় ২৫০ বিঘা জমি এবং ভিটে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।” সুশীল-সহ গ্রামবাসীদের দাবি, “গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ের ভাঙন রুখতে বোল্ডার পাইলিং করতে হবে। সালেপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার এই গ্রামটিতে ১১০টি বাড়ি রয়েছে। লোকসংখ্যা প্রায় ৬০০। প্রায় সকলেই কৃষিজীবী।

গ্রামবাসীর অনশনের খবর পেয়ে এদিন সকালে গ্রামে যান সেচ দফতরের আরামবাগ মহকুমা সহকারি বাস্তুকার শ্রীকান্ত পাল। তিনি গ্রামবাসীদের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘বাঁধটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প রচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে পাঠানো আছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে।” পরে শ্রীকান্ত বাবু বলেন, “গ্রামবাসীদের বলেছি, স্কিম পাঠানোই আছে। বিষয়টা নিয়ে তাঁরা বরং আগে দফতরের সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করুন। সেখানে কিছু না হলে প্রয়োজনে অনশন করুন। তাঁরা রাজি হননি।” আরামবাগ বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, “বাঁধটি সংস্কারের জন্য মহকুমা সেচ দফতর থেকে আগেই প্রকল্প রচনা এবং ভেটিং করে পাঠানো আছে। সেটা এখন কী অবস্থায় আছে খোঁজ নিচ্ছি।’’ একই কথা বলেছেন আরমবাগ বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা।

সুশীল অবশ্য বলেন, “এবার আর মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।”

Dwarakeswar River Dam Irrigation Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy