ছেলেকে কুড়ুলের কোপ মারার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় ক্ষুদিরাম দিগের নামে বছর তিরিশের ওই যুবককে প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে গোঘাটের উদয়রাজপুরে। পড়শি গণেশচন্দ্র বাগের অভিযোগের রাতেই পুলিশ বাবা রবীন্দ্রনাথ দিগেরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামে কীর্তনের অনুষ্ঠানের শেষ দিনে ধূলোট খেলার পর খিচুড়ি খাওয়ানো হচ্ছিল। কয়েকটি বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করে সেই খিচুড়ি এনে বাড়িতে খাচ্ছিলেন বছর চুয়ান্নর রবীন্দ্রনাথবাবু। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ ছেলে ক্ষুদিরাম ধূলোট খেলা সেরে বাড়িতে ফেরেন। রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, ছেলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়তি এসেই তাঁর পাতের খিচুড়ি পায়ে উল্টে দিয়ে লাথি মারতে থাকেন। স্ত্রী ও বৌমা সামলাতে এলে তাঁদেরও লাথি মারেন। তখন কুড়ুল নিয়ে ছেলেকে ভয় দেখাতে যান তিনি। ছেলে কুড়ুল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সাতপাঁচ না ভেবে কুড়ুল দিয়ে পায়ে, পিঠে কোপ মারেন।