খাঁ খাঁ: শহরের মাথাব্যথা যাকে নিয়ে। নিজস্ব চিত্র
কালেভদ্রে দেখা মেলে লরি-ট্রাকের।
খাঁ খাঁ উড়ালপুলে রাত নামলেই বসছে মদ-জুয়ার আসর!
প্রায় ৭২ কোটি টাকা খরচ করে চন্দননগরে উড়ালপুল চালু হয়েছে এক বছর হতে চলল। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে সেতু, সেটাই ব্যর্থ হতে বসেছে বলে মনে করছেন শহরের বহু বাসিন্দা। দিনের বেলা তবু কিছু ছোট গাড়ির দেখা মেলে। কিন্তু অন্ধকার হলেই উড়ালপুল যেন হাওয়া খাওয়ার জায়গা! অভিযোগ, সেতুর মাথায় মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে মদের আসর চালু হয়ে যায়। কোথাও জুয়া চলে। এমনকী, গাড়ি আটকে টাকা আদায় বা ছিনতাইয়ের অভিযোগও কম নয়। সব মিলিয়ে শহরের উড়ালপুল বাসিন্দাদের কাছে যেন আতঙ্ক!
পুলিশও মানছে, ওই উড়ালপুল নিয়ে নানা অভিযোগ আসছে। এসডিপিও (চন্দননগর) রানা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাতে সেতুতে পুলিশি টহল চলে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে।
জিটি রোড থেকে পণ্যবাহী লরি-ট্রাক দিল্লি রোড বা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে যেতে গেলে সাধারণত মগরা বা ৪০ কিলোমিটার দূরের বৈদ্যবাটি হয়ে যায়। এর মধ্যবর্তী কোনও জায়গা দিয়ে এতদিন ওই দুই সড়ক ধরার উপায় ছিল না লরি-ট্রাক চালকদের। কারণ, রাস্তা ছিল না। এই সমস্যা দূর করতেই কেএমডিএ, চন্দননগর পুরসভা এবং রেল মিলিত ভাবে চন্দননগরের ভাগাড় ধার থেকে নবগ্রাম পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু করে ২০১৩ সালে। গত বছরের মাঝামাঝি সেটি চালু হয়। উড়ালপুলটি জিটি রোডের সঙ্গে দিল্লি রোডের সংযোগ ঘটিয়েছে।
কিন্তু কোথায় লরি-ট্রাক? বেশির ভাগ পণ্যবাহী গাড়ি সেই পুরনো পথেই (মগরা বা বৈদ্যবাটি) যাতায়াত করছে। কেন?
আরও পড়ুন: সাফল্যেও দুশ্চিন্তা যায়নি ‘ব্ল্যাকবেল্ট’ অনুষ্কার
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী উড়ালপুলের সংযোগকারী রাস্তা মেরামতির প্রয়োজনের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, উড়ালপুলের গঠনগত ত্রুটির কথা মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘ভারী যান চলাচলের মতো করেই উড়ালপুলটি বানানো হয়েছে। সংযোগকারী রাস্তা খারাপ বলেই লরি-ট্রাক উড়ালপুলে উঠছে না। ওই সব রাস্তা মেরামত করা হবে।’’
এখন দেখার, কবে রাস্তা মেরামত হয় এবং সেই পথ ধরে লরি-ট্রাক উড়ালপুলে ওঠে কিনা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy