•অনুশীলন: বেলকুলাই চন্দ্রকুমার অধরচন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠে। ছবি: সুব্রত জানা
কলকাতা ময়দান থেকে বেলকুলাই চন্দ্রকুমার অধরচন্দ্র বিদ্যাপীঠের দূরত্ব কমবেশি ৫০ কিলোমিটার। উলুবেড়িয়ার এই স্কুলেই তৈরি হচ্ছে হকি দল।
এই স্কুলে মূলত গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়তে আসে। গ্রাম বাংলার অন্য স্কুলের মতো বেলকুলাই স্কুলের মাঠে গরমে ফুটবল এবং শীতে ক্রিকেট খেলা হতো। ২০১৪ সালের শেষে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিয়ে আসেন হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা পুনম ভট্টাচার্য।
পুনমদেবী আগে যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেখানে হকির অনুশীলন হতো। নতুন স্কুলে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, সেখানেও হকি শেখানোর ব্যবস্থা করবেন। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে কলকাতা ময়দানের হকি খেলোয়াড় এবং জাতীয় হকি আম্পায়ার ইমরান আজাদকে ডেকে পাঠান পুনমদেবী। ২০১৫ সালের প্রথমে বেলকুলাই স্কুলের মাঠে অনুশীলন শুরু হয়। ইমরান বলেন, ‘‘এখানে আসার পরে অভিভাবকদের হকির নিয়ম-কানুন বোঝানো হয়। অনুশীলন শুরু করার পরে বুঝতে পারি, তাঁরা খেলাটা দ্রুত রপ্ত করছে।’’
হাওড়া জেলা স্কুল ক্রীড়া সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাওড়া জেলা স্কুল দলের (বালিকা বিভাগ) ১৬ জনই ওই স্কুলের ছাত্রী। সেই দলটি ২০১৬ সালে আন্তঃজেলা স্কুল হকিতে রানার্স হয়েছে। সংসদের সম্পাদক প্রদীপ কোলে জানান, বেলকুলাইয়ের স্কুলের হাজিরা খাতুন, জোহরা খাতুন, রাবিয়া খাতুন এবং বিন্দিয়া খাতুন ইতিমধ্যেই বাংলা স্কুল হকি দল ও জুনিয়র দলের হয়ে ভিন্ রাজ্যে খেলে এসেছে। ওই স্কুলের ছয়-সাত জন এখন কলকাতা মহিলা হকি লিগেও খেলছে।
তবে ইমরান এবং প্রদীপবাবুদের ভাবাচ্ছে পরিকাঠামোগত সমস্যা। স্কুলের সামনের মাঠ এবড়ো-খেবড়ো। টাকার অভাবে কেনা যায়নি গোলকিপারের নির্দিষ্ট পোশাক। দেওয়া যায় না পুষ্টিকর খাবার।
প্রধান শিক্ষিকা পুনমদেবীর কথায়, ‘‘সাফল্য ধরে রাখতে গেলে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। একটা জিম এবং মাঠটাকে হকি খেলার উপযুক্ত করার খুবই দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy