বৃষ্টির পরে। বুধবার, টিকিয়াপাড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
প্রায় দু’ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে বুধবার হাবুডুবু হল হাওড়া। জমা জলের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যান চলাচল। নাস্তানাবুদ হতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও নিত্যযাত্রীদের। পুরসভার দাবি, দু’ঘণ্টায় প্রায় ৫৫-৬০ মিমি বৃষ্টি হওয়াতেই এই বিপত্তি। তবে কয়েকটি নীচু এলাকা ছাড়া বিকেলের মধ্যে অধিকাংশ জায়গার জলই নেমে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন চালানো হয় অতিরিক্ত ৪১টি পাম্প। রাস্তায় নেমে জল সরানোর কাজ শুরু করে পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে মুষল ধারে বৃষ্টি হয়। সকালের দিকে শহরের মধ্য ও দক্ষিণ দিক থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও উত্তরে বালির দিক ছিল সম্পূর্ণ শুখা। পরে বেলা ১১টা থেকে ওই এলাকাতেও টানা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জেরে মধ্য হাওড়া ও পুরসভার সংযুক্ত এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি হয়। জল জমে যায় রামরাজাতলা, নেতাজি সুভাষ রোড, বেলগাছিয়া, বেনারস রোড, সি রোড, ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস, নোনাপাড়া, টিকিয়াপাড়া এলাকাতেও। বেনারস রোডে প্রায় দেড়ফুট জল জমে যাওয়ায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দাশনগরের বিভিন্ন এলাকা-সহ পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, বেলিলিয়াস লেন। অনেক বাড়িতে জল ঢুকে যায়, যা রাত পর্যন্ত নামেনি।
পুরসভার নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র বলেন, ‘‘এত বৃষ্টি হলেও জল কোথাও বেশিক্ষণ জমে থাকেনি। কয়েকটি অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকায় বিকেলের পরে আধ ইঞ্চি জল রয়েছে। সব জায়গায় পাম্প চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যেরাও জল সরাতে দিনভর কাজ করেছেন।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বৃষ্টির জেরে কাজিপাড়ার কাছে একটা পাঁচিল ভেঙে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হননি। অন্য দিকে, দানেশ শেখ লেনের কাছে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ফাঁকা বাসের উপরে ভেঙে পড়ে একটি গাছ। সেই গাছ কাটার সময়ে আবার পড়ে গিয়ে আহত হন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক কর্মী। তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কর্মীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বৃষ্টি হলে জল জমবে, হাওড়ায় এ নতুন কথা নয়। তবে আগের থেকে জল অনেক তাড়াতাড়ি নেমে যাচ্ছে, এটা ভাল লক্ষণ। জমা জল আরও দ্রুত নামাতে পুরসভা যে প্রকল্প তৈরি করে রাজ্য সরকারকে দিয়েছে তা কার্যকরী হলে সমস্যা অনেকটা মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy