বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী এবং দুই আত্মীয়ার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার আমতার কাষ্ঠসাংড়া গ্রামে। মৃতের নাম অর্পিতা সমাজপতি (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপির্তাদেবীর বাপের বাড়ি আমতারই সেনেরডাঙা গ্রামে। বছর ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয় কাষ্ঠসাংড়া গ্রামের গণেশ সমাজপতির সঙ্গে। গণেশ একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের দুই আত্মীয়া থাকেন। তাঁদের প্ররোচনায় অর্পিতার উপরে অত্যাচার চালাতেন গণেশ। বছর দুই আগে অর্পিতা আমতা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে ফের অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ।
অর্পিতাদেবীর বাবা মধুসূদন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রবিবার রাতে আমতা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার আমাদের বাড়িতে এসে জানান, মেয়ে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে মারা গিয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে থানা হয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। প্রতিবেশীরা জানান, মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় জামাই এবং ওই দুই আত্মীয়া একজন হাতুড়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়ে মারা যাওয়ায় তাঁকে সেখানে ফেলে রেখেই তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।’’
তিনি আরও জানান, নাতনির কাছেই তাঁরা শুনেছেন মেয়েকে গলায় গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে মেরে তার পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সোমবার দুপুরে জামাই ও তার দুই আত্মীয়ার বিরুদ্ধে থানায় মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, তদন্তে প্রয়োজন হলে বধূর পাঁচ বছরের মেয়েকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy