বধূকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়ায়। নিহতের নাম সান্ত্বনা তুড়ি ওরফে সায়েরা বিবি (২২)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সান্ত্বনার বাড়ি পান্ডুয়ার খারাজিপাড়ায়। গত বছর নভেম্বর মাসে তাঁর সঙ্গে খন্যান পূর্বপাড়ার বাসিন্দা শেখ সাদ্দামউদ্দিন মণ্ডলের বিয়ে হয়। মেয়েটির বাপেরবাড়ির লোকজনের দাবি, শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফোন করে তাঁদের জানান, সান্ত্বনা গলায় দড়ি দিয়েছেন। তাঁরা যেন পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চলে আসেন। ওই খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়েটির বাপেরবাড়ির লোকজন পান্ডুয়া হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, প্রসূতি বিভাগের সামনে একটি ট্রলিতে সান্ত্বনার দেহ শোয়ানো আছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ সেখানে ছিলেন না। তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
ওই দিন রাতেই জামাই সাদ্দাম এবং তাঁর মা মনসুরা বিবির বিরুদ্ধে পান্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কার্তিকবাবু। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে খুন এবং বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, রাতেই সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়। মনসুরা বিবি পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে। কার্তিকবাবুর দাবি, ‘‘মেয়ের গলায় দাগ ছিল। আমাদের সন্দেহ শ্বাসরোধ করে মেয়েকে মেরে ওরা ঝুলিয়ে দেয়। পরে নিজেরাই হাসপাতালে দেহ নিয়ে যায়। বেগতিক বুঝে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’’ তাঁর অভিযোগ, ওঁরা মেয়েকে মারধর করতেন। তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়ের উপরে চাপ দিত। পুলিশ জানায়, অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বধূকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
ধৃত সাদ্দামকে শনিবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ সরফুল আলম নামে সাদ্দামদের এক প্রতিবেশী ওই বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে আসেন। বিএমওএইচ শঙ্করনারায়ণ সরকার বলেন, ‘‘কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, ওই বধূ ততক্ষণে মারা গিয়েছেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বধূর গলায় দাগ ছিল। হাসপাতালের তরফে পান্ডুয়া থানায় ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy