Advertisement
E-Paper

নিরাপত্তা চান বলাগড়ের ভূমি কর্তা

হুগলির বিভাগীয় অতিরিক্ত জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘জয়ন্তবাবুর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এখন তিনি কাজে যোগ দিলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫৯
 আতঙ্কে: জয়ন্ত দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।

আতঙ্কে: জয়ন্ত দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।

বেআইনি বালি তোলায় বাধা দেওয়ায় দিন কয়েক আগে নিজের দফতরেই মার খেয়েছিলেন বলাগড়ের বিএলএলআরও জয়ন্ত দত্ত। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বলাগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, ডুমুরদহ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শ্যামাপ্রসাদবাবু এখনও গ্রেফতার হয়নি। তাই পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখলেন জয়ন্তবাবু। ওই ঘটনার পর থেকেই ওই বলাগড়ের বিএলএলআরও অফিসে যাচ্ছেন না জয়ন্তবাবু। বিষয়টি নিয়ে হুগলি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশানি পালের সঙ্গেও সম্প্রতি দেখা করেন তিনি।

হুগলির বিভাগীয় অতিরিক্ত জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘জয়ন্তবাবুর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এখন তিনি কাজে যোগ দিলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।’’

পরিবেশ আদালতের নির্দেশে হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায় নদী থেকে বালি তোলা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও বলাগড়-সহ হুগলির নানা জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে মাটি এবং বালি তোলার অভিযোগ আসছিল। অভিযোগ, বেআইনি বালি বোঝাই গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ‘অনুরোধ’ না শোনায় শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাঁর দফতরে ঢুকে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মারধর। জয়ন্তবাবু থানায় অভিযোগ করেন। সেই ঘটনায় তিন জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত শ্যামাপ্রসাদকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। চিঠিতে জয়ন্তবাবু লিখেছেন, ‘‘মারধরের ঘটনায় যুক্তরা সবাই এখনও গ্রেফতার হয়নি। তারা এলাকাতেই রয়েছে। তাই আমি নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কিত।’’

Balagarh TMC Political Party বলাগড়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy