Advertisement
২১ মে ২০২৪

ডানকুনিতে বন্ধ মদের কারখানা

বরাত না থাকার কারণ দেখিয়ে হুগলির ডানকুনিতে মদ প্রস্তুতকারক একটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ঝোলালেন কর্তৃপক্ষ। ফলে কাজ হারালেন শ’খানেক শ্রমিক। সোমবার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন শ্রীরামপুরের উপ-শ্রম কমিশনার অমল মজুমদার।

কারখানায় ‘সাসপেনসন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস। ছবি: দীপঙ্কর দে।

কারখানায় ‘সাসপেনসন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস। ছবি: দীপঙ্কর দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডানকুনি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২৭
Share: Save:

বরাত না থাকার কারণ দেখিয়ে হুগলির ডানকুনিতে মদ প্রস্তুতকারক একটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ঝোলালেন কর্তৃপক্ষ। ফলে কাজ হারালেন শ’খানেক শ্রমিক।

সোমবার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন শ্রীরামপুরের উপ-শ্রম কমিশনার অমল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকদের দাবি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই কারখানা বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ অনুচিত কাজ করেছেন। আগামী বুধবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। সেখানে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’ এ বিষয়ে কারখানার কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কাউকেই ফোনে পাওয়া যায়নি।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর সাতেক আগে ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ‘প্যাশন বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে ওই কারখানাটি তৈরি হয়। উৎপাদনে সঙ্গে যুক্ত শ’খানেক ঠিকাশ্রমিক। জনা পনেরো ‘ম্যানেজমেন্ট স্টাফ’ আছেন। বেশ কিছু দিন ধরেই ‘বরাত কম আসছে’ বলে দাবি করছিলেন কর্তৃপক্ষ। এর আগে একাধিকবার কারখানায় ‘লে অফ’ও হয়। শেষ পর্যন্ত সোমবার কারখানার গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই চত্বরেই মদ তৈরির নতুন একটি কারখানা চালু হয়েছে কয়েক মাস ধরে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারখানা চালাচ্ছে অন্য একটি সংস্থা। বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের অবশ্য অভিযোগ, খাতায়-কলমে অন্য কারখানা হলেও একই কর্তৃপক্ষ নতুন কারখানাটি চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, এখানকার ম্যানেজমেন্ট স্টাফদেরই নতুন কারখানায় নেওয়া হয়েছে। কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বের অভিযোগ, মালিকপক্ষ গত কয়েক মাস ধরেই কারখানা বন্ধের চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি শ্রীরামপুরে শ্রম দফতরে এই নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হল।

সংগঠনের সভাপতি প্রকাশ রাহার অভিযোগ, ‘‘শ্রমিকদের পাওনা নিয়ে সমস্যা ছিল। তা সত্ত্বেও শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের প্রতি অবিচার করা হল। অবিলম্বে উৎপাদন চালু করা হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE