প্রস্তুতি: চলছে ছাউনি দেওয়ার কাজ। নিজস্ব চিত্র
আমতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ফাঁকা মাঠে জনসভার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেেক শিক্ষা নিল বিজেপি। আজ, সোমবার শ্যামপুর ফুটবল মাঠে অমিত শাহের জনসভার কথা রয়েছে। সেখানে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল আমতা স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে যখন জনসভায় আসেন রাজনাথ সিংহ, তখন মাঠে শ্রোতা ছিলেন সাকুল্যে হাজারখানেক। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, ফাঁকা মাঠ নিয়ে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রশ্ন করেন রাজনাথ। উত্তরে নেতারা রাজনাথকে জানান, সভা হচ্ছে দুপুর ১২টা। ঠাঠা রোদে আসেননি শ্রোতারা। স্থানীয় নেতাদের রাজনাথ বলেন, ‘‘মাঠে ছাউনির ব্যবস্থা হয়নি কেন?’’
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, রাজনাথের সেই প্রশ্নের মুখে পড়ে ঘাবড়ে যান স্থানীয় নেতারা। পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে ছাউনির ব্যবস্থা করা যায়নি সে কথা বলে কোনওমতে বিষয়টি এড়িয়ে যান তাঁরা। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে ছাউনির জন্য অনুমতিই চাওয়া হয়নি।
রাজনাথের সভায় লোক না হওয়ার বিষয়টি অমিত শাহের কাছ পর্যন্ত পৌঁছয় বলে দলের একটি সূত্রের খবর। তারপরে অমিত সিংহের নির্দেশে শ্যামপুরের সভায় ছাউনির ব্যবস্থার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে সরাসরি তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সেই অনুযায়ী শনিবার থেকেই মাঠে প্লাস্টিকের ছাউনি লাগানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। সকাল ৯টায় জনসভা শুরু হবে শ্যামপুর ফুটবল মাঠে। তবে অমিত শাহ আসবেন বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে। ফলে সেই সময় যথেষ্ট রোদের সম্ভাবনা। ছাউনির ব্যবস্থা না করলে এই জনসভার পরিণতিও রাজনাথের সভার মতোই হবে বলে দলের নেতাদের আশঙ্কা।
ছাউনি হলে যথেষ্ট লোক হবে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন। দলের হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা মঞ্চের অংশ বাদ দিয়ে দেড় লক্ষ বর্গফুট এলাকায় ছাউনির ব্যবস্থা করছি।’’
আগামী ২৬ এপ্রিল শ্যামপুরে সভা করতে আসছেন তৃণমূল যুবার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন জয়পুরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনসভারও সময় দেওয়া আছে দুপুর ১টায়। দুজনের সভাতেই ছাউনির ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান দলের হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘‘দুপুরে জনসভা করলে রোদের হাত থেকে তো কর্মী সমর্থকদের বাঁচাতেই হবে। সেই কারণেই ছাউনির সিদ্ধান্ত।’’
বিজেপির গ্রামীণ জেলা নেতৃত্বের একটি অংশের মত, ছাউনির ব্যবস্থা করলে রাজনাথের সভা ফ্লপ করত না। দলের এই নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, এটা দলের অন্তর্ঘাত কি না তা তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy