Advertisement
০৩ মে ২০২৪
আমন্ত্রণপত্র ঘিরে বিতর্ক উলুবেড়িয়ায়
general-election-2019-west-bengal

সাজদা ‘সাংসদ’, ইদ্রিশ ‘বিধায়ক’!

ফল বেরোনোর আগেই একজন প্রার্থীকে বিধায়ক এবং আর একজনকে সাংসদ হিসাবে উল্লেখ করা হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

বিতর্কিত: এই সেই আমন্ত্রণপত্র। নিজস্ব চিত্র

বিতর্কিত: এই সেই আমন্ত্রণপত্র। নিজস্ব চিত্র

সুব্রত জানা 
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০২:১৭
Share: Save:

এখনও ফল ঘোষণা হয়নি। তার আগেই উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের ‘বিধায়ক’ হয়ে গিয়েছেন ইদ্রিশ আলি! উলুবেড়িয়ার ‘সাংসদ’ হয়ে গিয়েছেন সাজদা আহমেদ!

উলুবেড়িয়ার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অনেকের হাতে ঘোরা তৃণমূলের একটি আমন্ত্রণপত্র সে কথাই বলছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। শুরু হয়েছে কটাক্ষও।

আগামী ১ জুন উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল ও তাদের জয় হিন্দ বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ইদ উৎসব উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ, কৃতী ছাত্রছাত্রী ও ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। তাতে ‘সম্মানীয় অতিথি’ হিসেবে নাম রয়েছে উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার উপ-নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী ইদ্রিশ আলির। সেই নামের পাশেই তাঁকে ‘বিধায়ক, উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্র’ লেখা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে নাম রয়েছে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদেরও। তিনি এলাকার বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু তাঁকেও ‘সাংসদ’ হিসেবে লেখা হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফল বেরোনোর আগেই একজন প্রার্থীকে বিধায়ক এবং আর একজনকে সাংসদ হিসাবে উল্লেখ করা হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘গণতন্ত্র-বিরোধী কাজ। যারা এই কাজ করেছে, তাদের গণতন্ত্র সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই।’’ বিজেপি প্রার্থী প্রত্যুষ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হয়েছে তৃণমূলের। কোনও ভাবেই এটা করা যায় না। সংসদীয় গণতন্ত্রের চরম অপমান।’’

ওই ভাবে কার্ড ছাপা অনৈতিক হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি বেণু সেন। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি।’’ ইদ্রিশ বলেন, ‘‘দলের কোনও কর্মী ভুল করে করেছে। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ সাজদাও বলেন, ‘‘ওই আমন্ত্রণপত্রে কথা জানি না। তবে যদি আমাকে সাংসদ বলে লেখা হয়, তা হলে ভুল হয়েছে।’’

বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন। দলীয় নেতা অনৈতিক কাজ বলছেন। প্রার্থীরা মানছেন, ভুল হয়েছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা, জেলা (গ্রামীণ) জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি শেখ রেজাবুলের। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত ওই দু’জনই জিতবেন। আমাদের অনুষ্ঠান ১ জুন, তত দিনে ওঁরা শপথ নিয়ে ফেলবেন। সে কথা মাথায় রেখেই ওই ভাবে আমন্ত্রণপত্র লেখা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE