শুক্রবার চুঁচুড়া থানার সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
বাড়িতে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে চুঁচুড়ার তৃণমূল নেতা দিলীপ দাসের ছেলে জয়প্রকাশ গ্রেফতার হলেও জামিন পেয়েছেন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার প্রথমে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে এবং তারপরে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
লকেটের অভিযোগ, ‘‘গোলা-বারুদ, অস্ত্রের ভাণ্ডার হয়ে উঠেছে এই জেলা। এখানে তৃণমূলের অনেকের বাড়িতে বাইরে থেকে নগদ টাকা ও অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। একাধিক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র থাকা সত্ত্বেও ধরা পড়ার একদিনের মধ্যেই তৃণমূল নেতার ছেলের জামিন মঞ্জুর হয়ে গেল! এই গোলা-বারুদের সামনে দাঁড়িয়ে জেলার ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।’’ অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ‘ভূমিকা’র সমালোচনাও করেন লকেট। ঘটনার নতুন করে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি তুলেছেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন, অস্ত্র আইনের জামিনঅযোগ্য দু’টি ধারায় জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। জেলার সর্বত্রই অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী দীপক সাহা আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন। আদালত জয়প্রকাশকে জামিন দেয়। লকেটের অভিযোগ নিয়ে এ দিন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী কোনও ক্ষেত্রেই সার্থক হতে পারছেন না। সিনেমা ছেড়ে রাজনীতির জগতে এসেও হতাশায় ভুগছেন। আদালতের উপরেও আস্থা হারিয়েছেন।’’
চন্দননগর কমিশনারেটের এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ইতিমধ্যেই পুলিশের তিনটে টিম করে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাছে। সাতজন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কেউ বা কারা সেখানে অস্ত্র রেখে গিয়েছিল। কারণ ধৃত ওই আইনজীবীর জিম থেকে অস্ত্র পেয়েছে পুলিশ। দাস পরিবার থেকে সিসি টিভির ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ।
চুঁচুড়া স্টেশনের কাছে কানাগড়ে চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ দাসের বাড়িতে গত বুধবার হানা দেন আয়কর দফতরের কয়েকজন আধিকারিক। সেখান থেকে দু’টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি ম্যাগাজিন এবং ২১ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। ওই আধিকারিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দিলীপবাবুর ছোট ছেলে জয়প্রকাশকে ওই রাতেই গ্রেফতার করে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। তিনি এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এবং দেশ ছেড়ে না-যাওয়ার শর্তে চুঁচুড়া আদালত থেকে জামিন পান। এই জামিনের বিরুদ্ধেই শুক্রবার সকালে লকেট এবং কয়েকশো বিজেপি কর্মী-সমর্থক প্রথমে মিনিট দশেক ঘড়ির মোড়ে বসে বিক্ষোভ দেখান। তার পরে চুঁচুড়া থানার সামনে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ হয়। শেষে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন বিজেপি প্রার্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy