মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক প্রৌঢ়কে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার থেড়ো গ্রামে। নিহতের মৃতের নাম শ্যামল বাগ (৫০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চণ্ডীতলার থেড়ো গ্রামের কিছু বাসিন্দা শুক্রবার মৃতদেহ সৎকার করে গ্রামে ফিরে মদ্যপ অবস্থায় চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তার প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। অন্য গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো সমস্যা মিটে যায়। অভিযোগ, শনিবার দুপুরে ফের তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় গ্রামের মধ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। যাঁদের হস্তক্ষেপে ওই দিন ঝামেলা বন্ধ হয়েছিল, তাঁদের গালিগালাজ করেন মদ্যপরা। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামলবাবু এ দিন দুপুরে খাওয়ার পরে বাড়ির কাছেই মাঠের ধারে বসেছিলেন। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন তিনি ওই মদ্যপদের কিছু বলার চেষ্টা করেন। তখন তাঁরা শ্যামলবাবুকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্যামলবাবুর। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অন্য গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরে গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন পুলিশ।
নিহতের ভাই পঞ্চা বাগ হামলাকারী কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই হামলা চালানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সব দিক খতিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বাজি উদ্ধার, ধৃত। বাগনানের খালোড়ে বাজি বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসল হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। গত বুধবার বাজি বিস্ফোরণে এক মহিলা-সহ দু জন মারা যান। এর পরেই বৃহস্পতিবার জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে শব্দবাজি ও বারুদ উদ্ধার করে। এ বার আমতা থানার পুলিশও শুক্ররবার রাতে মণ্ডল পাড়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এক বাজি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করে ৬০টি গাছ বোমা, ১৫ কেজি চকোলেট ও ৭ কেজি বারুদ। ধৃতের নাম শেখ খাইরুল হাসান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy