পুকুর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল শ্যামপুরের গণেশপুরে।
হাওড়ার শ্যামপুরের নীলকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুজন মাল নামে বছর কুড়ির ওই যুবকের দেহ এলাকারই একটি পুকুর থেকে পাওয়া যায়। তাঁকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় জনতা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় জনতার। পরে উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস পেলে বিক্ষোভকারী শান্ত হয়। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায়।
সুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে পাশের গ্রাম ঘনেশ্বরপুরের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে সুজনের গলায় বেল্ট আটকানো ছিল। তাই প্রাথমিক ভাবে তাদের অমুমান, সুজয়কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজন সোনার কাজ করেন গুজরাতে। মাস ছয়েক পর পর তিনি বাড়িতে আসেন। গত মার্চ মাসে বাড়িতে আসেন। কয়েক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে পাশের গ্রাম ঘনেশ্বরপুরের একটি মেয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটির বাবা সেটা জানতে পেরে দু’জনকেই সাবধান করেন এবং মেয়েকে তার মামার বাড়ি বাগান্ডা এলাকায় পাঠিয়ে দেন। গত ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মেয়েটি বাড়িতে আসে। পাশের চিড়েয়াড়া গ্রামে ওই রাতে অর্কেষ্ট্রার আসর বসেছিল। সেখানে এলাকার লোকেরা সুজন ও মেয়েটিকে কথা বলতে দেখেন। অভিযোগ তারপর থেকেই সুজন নিখোঁজ ছিল। অনেক রাতেও না ফেরায় বাড়ির লোকেরা খোঁজখবর শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য খোঁজাখুঁজির সময় স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের জানান, সুজনকে তাঁরা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে দেখেছেন। পরে ভোরবেলা তাঁরা মেয়েটির বাড়িতে সুজনের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে মেয়েটির বাবা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। যদিও সুজনের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তের পরিবার। তাঁদের পাল্টা দাবি, সুজনই তাঁদের মেয়েকে উত্যক্ত করত।
এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে সুজনের দেহ ভাসতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর দেন। সুজনের বাবা সুজিত মাল বলেন, ‘‘আমরা ছেলের ওই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাঁদের আপত্তির কারণে ছেলেকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু সুজন কথা শোনেনি। তবে সে জন্য ছেলে খুন হবে ভাবতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy