অপরাধ ও পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে আন্দুল বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আন্দুল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় নতুন ফাঁড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া জেলা পুলিশ। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।
বর্তমানে সাঁকরাইল থানার সীমানার ভিতর রয়েছে ১৬টি পঞ্চায়েত এবং হাওড়া পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড। আন্দুলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখানকার পূর্বপাড়া এলাকায় একটি ভাড়াবাড়ির একাংশে পুলিশ ফাঁড়ি চালু রয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রায় কোনও পরিকাঠামোই নেই। বাড়ির অবস্থা জীর্ণ। নেই পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী। এ ছাড়াও সেই বাড়ির মালিক আর ভাড়া দিতে চাইছেন না। তাই ফাঁড়িটিকে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সরিয়ে এনে নতুন ভাবে গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘আন্দুল বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন এলাকায় লোকবসতি বাড়ছে। বহুতল হচ্ছে। বাইরের লোকের যাতায়াত বাড়ছে। তাই পুরনো ফাঁড়ির বদলে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নতুন ফাঁড়ি তৈরি হবে। জমি খোঁজার কাজ চলছে। একান্তই জমি না মিললে ওই এলাকায় ভাড়াবাড়ি নিয়েই কাজ শুরু করা হবে।’’
পুলিশ নিজের তহবিলে বাড়ি তৈরি করলে জমি দিতে অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পুলিশের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। ফাঁড়ি তৈরির জন্য জমির খোঁজ চলছে।’’
সম্প্রতি ভরা অফিস টাইমে আন্দুল রোডের পোদরা হালদারপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সাঁকরাইল থানার পুলিশ জানায়, একটি বেসরকারি সংস্থার দু’জন কর্মী একটি গাড়ি করে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি যখন যানজটে আটকে পড়ে তখনই পথ আটকায় একটি মোটরবাইক। গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে পালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় পরে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়াও সম্প্রতি আন্দুল রোডে কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর ভিতর অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, আন্দুল বাজার এলাকায় কোনও গোলমাল হলে পুলিশ বাহিনীর ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কম করে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। ততক্ষণে যা হওয়য়ার হয়ে যায়। সাঁকরাইল থানার পুলিশ কর্তাদের আশা, বাসস্ট্যান্ডের পাশে পুলিশ ফাঁড়ির বোর্ড লাগানো থাকলে অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কমবে যানজট। জেলা পুলিশের ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশকর্মীদের কাজ করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করতে পারলেই আমরা আন্দুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফাঁড়ি তৈরি করব। ফাঁড়ি তৈরির বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
বিডিও প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, জেলা পুলিশের কর্তারা ফাঁড়ির জন্য জমি চেয়েছেন। তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy