আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের উন্নতির লক্ষ্যে হুগলি একটি নতুন প্রকল্প চালু করছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। এই প্রকল্পের মধ্যমে ছাগল ও হাঁস-মুরগি প্রতিপালন করা যাবে। রাজ্যের পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই জেলার গোঘাট ২ ব্লককে বাছা হয়েছে। আগামী শনিবার ২৫ জুন সূচনা হবে। জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের উপ-অধিকর্তা প্রবীর পাঠক বলেন, “মূল উদ্যোক্তা আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। রাজ্য দফতর থেকেই সিদ্ধান্ত মতো পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত এলাকার চারটি গ্রামে। প্রকল্পটি সফল হলে রাজ্য জুড়ে চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।’’
নতুন এই প্রকল্পটির বৈশিষ্ট্য কী? জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র মহিলারই প্রকল্পটির উপভোক্তা হবেন। পরিবার পিছু একটি ইউনিট ধরে ২৫টি পরিবার নিয়ে একটি করে সঙ্ঘ (ক্লাস্টার) গঠন করা হবে। একটি ইউনিট বা পরিবার পিছু আট মাস থেকে এক বছর বয়সের ৫টি করে বিশেষ প্রজাতির ছাগল, পরিবার পিছু ২৮ দিন বয়সের ১০টি হাঁস অথবা ১৫টি করে মুরগি দেওয়া হবে। এ সব দেওয়ার পরে এক বছর ধরে প্রাণীদের পুরো খাবার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা করা অর্থাৎ তদারকি করবে এই দফতর। যে চারটি ৪টি গ্রামে ৪টি ক্লাস্টার গঠন হয়েছে সেগুলি হল— বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের বেঙ্গাই, কামারপুকুর পঞ্চায়েতের মধুবাটি, কুমারগঞ্জের বেলুন এবং পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতে সুন্দরপুর গ্রাম। ক্লাস্টার পিছু সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। চারিটি ক্লাস্টারে মোট প্রকল্প ব্যায় ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের উদ্যোগে ২০১৫ সালের গোড়ায় প্রকল্পটি চালু করার কথা বলেছিলেন। তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন তৎকালীন গোঘাট ২ ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক শুভেন্দু হালদার, সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মণ্ডল। ২০১৬ সালের মার্চ মাসের গোড়ায় সেটির অনুমোদন মেলে। সাংসদ বলেন, ‘‘দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। আশা করি সাফল্য মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy